প্রতিবেদন : উপাচার্য নিয়োগ মামলা নিয়ে রাজ্যপালের (governor) তুঘলকিকাণ্ড। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। রাজ্যপাল রাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা লড়ছেন রাজ্যেরই অর্থে। বেনজির এই ঘটনা চোখে পড়ার পরেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, এ হয় নাকি! চাঁদা তুলে সরকারি টাকা দিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা লড়ছেন রাজ্যপাল। এটা কোন ধরনের নীতি নৈতিকতা? মাছের তেলে মাছ ভাজতে চাইছেন। সরকার সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
আরও পড়ুন-আজ পরিষেবা প্রদান
অক্টোবরে রাজ্যপালের সচিবালয় থেকে রাজ্য সরকারের সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারির স্বাক্ষর করা লিখিত নির্দেশ পাঠানো হয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে। লেখা ছিল, সুপ্রিম কোর্টে চলা মামলায় আইনজীবীদের খরচ সব বিশ্ববিদ্যালয় ও সমন্বয়কারী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে বহন করতে হবে। এরপরই জানা যায়, কলকাতা ও যাদবপুর-সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই ৬০ হাজার টাকা করে দিয়েছে। নজরে আসতেই বিতর্ক তুঙ্গে। রাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা লড়ছেন রাজ্যপাল। অর্থ জোগান দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এটা হয় নাকি? ইতিমধ্যে গোটা ঘটনাটিকে বেআইনি, নীতিবিরুদ্ধ বলেছে এডুকেশনিস্ট ফোরাম। প্রশ্ন উঠেছে যে অর্থ দেওয়া হচ্ছে তা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কোন আইন, বিধি বা অধ্যাদেশে রয়েছে? রাজ্যের অর্থে চলা বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে রাজ্যের বিরুদ্ধে করা মামলার খরচ বহন করবে? ওমপ্রকাশ মিশ্র-সহ অন্যান্য প্রাক্তন উপাচার্যরা বলছেন, বেনজির, বেআইনি সিদ্ধান্ত এখনই বাতিল করা উচিত। শিক্ষমন্ত্রী জানান, সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে বিষয়টি আনা হচ্ছে।