কথা রাখেনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার, ৬টি চা বাগান অধিগ্রহণ করবে রাজ্য, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

Must read

রাজ্যের বন্ধ চা বাগান খোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ২০১৯-এর ভোট পেরিয়ে ২৪-এ আরও একটি নির্বাচন এসে গিয়েছে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি রাখেনি মোদি সরকার। এবার রাজ্য সরকারই জলপাইগুড়ির ৬টি চা বাগান অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার, জলপাইগুড়ির সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি(Mamata Banerjee) জানান, “জলপাইগুড়ির বন্ধ হয়ে যাওয়া ৬টি চা বাগান অধিগ্রহণ করবে রাজ্য সরকার।”

জলপাইগুড়িতে রেডব্যাঙ্ক, সুরেন্দ্রনগর, রায়পুর, ধরনীপুর, রিয়াবাড়ি- এই চা বাগানগুলি বন্ধ রয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন চা বাগানের বহু শ্রমিক। তাঁদের মুখে হাসি ফোটাতে এই সিদ্ধান্ত বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। রবিবারের আলিপুরদুয়ারের পরে সোমবারও মমতা জানান, চা-বাগান শ্রমিকদের জমির পাট্টা দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে বাড়ি তৈরির জন্য দেওয়া হচ্ছে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য। ৬ হাজারের বেশি পাট্টা বিলি করা হচ্ছে।

এদিনের মঞ্চ থেকে যা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী
• ১১০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন হল
• ৬৯ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস হল
• একাধিক নতুন ব্লক তৈরি হয়েছে
• নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে
• নতুন বিমানবন্দর তৈরি হয়েছে
• বাংলাদেশ ভূটান এশিয়ান হাইওয়ে তৈরি হয়েছে
• দেবী চৌধুরানীর মন্দির তৈরি হয়েছে
• ৪ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষের পানীয় জলের সমস্যা মেটানো লক্ষ্য, আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হবে
• একাধিক নতুন ব্লক তৈরি হয়েছে

আরও পড়ুন- আদালতে পড়ে রয়েছে ধূপগুড়ির বিষয়টি, সভা থেকে মুখ্যসচিবকে কী নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

বানারহাটের অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) জানান, রাজ্য সরকারের দেওয়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ক্যানসেল হবে না। ৬০ বছর বয়সের পরে বার্ধক্যভাতা হিসেবে সারাজীবন পাওয়া যাবে। ১৫ ডিসেম্বর থেকে ফের রাজ্যে শুরু হবে দুয়ারে সরকার শিবির। এখনও যাঁদের নাম লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ওঠেনি, তাঁদের ওই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ৪ লক্ষ ৩০ হাজার ঘরে জল পৌঁছানো লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। এর পাশাপাশি উত্তরের পরিষেবা উন্নত করতে বানারহাট ফায়ার স্টেশন হচ্ছে। হবে ৩০ বেডের ব্লক হাসপাতাল। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান, খরিপ চাষের টাকা ১ কোটি ২০ লক্ষ কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নগদ ৫ হাজার টাকা পৌঁছে যাবে। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি থেকে চেক বিলি করা হবে বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

Latest article