প্রতিবেদন : বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Education Minister Bratya Basu) সঙ্গে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের বৈঠক ইতিবাচক ও ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা খুশি। প্রায় দু’ঘণ্টার বৈঠক শেষে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধি দলের তরফেই এ কথা জানানো হয়েছে। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে নিয়োগের।
বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Education Minister Bratya Basu) বলেন, সরকারও চাইছে যোগ্যরা চাকরি পাক। কেউ বঞ্চিত হোক তা চান না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কীভাবে যোগ্যদের চাকরি দেওয়া যায় তা খতিয়ে দেখেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই নিয়োগের ব্যাপারে যে আইনি জটিলতা আছে, তা কাটাতে হবে আগে।
আন্দোলনকারী মতিউর রহমান বলেন, বৈঠক ইতিবাচক। আমরা জানতে চেয়েছিলাম, নিয়োগে বাধা কোথায়? মুখ্যমন্ত্রী আইনি জটিলতা কাটিয়ে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে বলছেন। শিক্ষামন্ত্রীও বলেছেন, আদালতের নির্দেশ পেলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা হবে। ৫৫৭৮ জনকে নিয়োগের ব্যবস্থা হবে। সরকার কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে। আমরা আশাবাদী যে এই পথে চললে খুব দ্রুত নিয়োগ জট কেটে যাবে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে রাসমণি পাত্র বলেন, কোথায় জট, কোথায় সমস্যা তা জানতে পেরেছি। আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে দ্রুত নিয়োগ হবে। আগামী ২২ তারিখে ফের বৈঠক রয়েছে। আমরা জানতে পারব কী ফল হল! আরেক চাকরিপ্রার্থী পলাশ মণ্ডলের কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যত জটিলতা আছে সব কাটিয়ে দ্রুত নিয়োগ হবে, এই বৈঠকের পর সেটা বুঝতে পারছি।
আরও পড়ুন- আর্থিক বঞ্চনার প্রতিবাদে রাজ্যসভায় এককাট্টা ইন্ডিয়া
শিক্ষামন্ত্রী এদিন সংবেদনশীলতার সঙ্গে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রথম থেকেই ছেলেমেয়েদের সঙ্গে ছিলেন। মহামান্য আদালত যেভাবে চাইবে, আমরা সেভাবেই নিয়োগ দেব। এখন বিষয়টা আইনি কিছু জটিলতায় আটকে আছে। আশা করছি যে এই আইনি জটিলতা সত্বর কেটে যাবে। তিনি আরও জানান, আমাদের দলীয় বৈঠকেও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছেলেমেয়েগুলি যাতে চাকরি পায় তার জন্য সদর্থক ভূমিকা নিয়েছিলেন। আমরা সকলেই চাই ওরা চকরি পাক। আদালতের নির্দেশ পেলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।
এদিনের বৈঠকে নিয়োগ জটিলতার সমস্ত আইনি খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কীভাবে, কোন পদ্ধতিতে এই জট কাটিয়ে দ্রুত নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা যায় তা নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য সরকারের।
সোমবার বিকাশ ভবনে এসএলএসটি (নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলে সেই বৈঠক। শনিবার দুপুর তিনটে নাগাদ বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ৭ প্রতিনিধির শুরু হয় বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দফতরের আরও আধিকারিক। চাকরিপ্রার্থীদের অনুরোধে এই বৈঠকে ছিলেন কুণাল ঘোষও।