প্রতিবেদন : সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মর্যাদা না দিয়ে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট নিয়োগের পথ প্রশস্ত করতে সংখ্যার জোরে বিল পাশ করল মোদি সরকার। শীর্ষ আদালত নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করতে একগুচ্ছ নির্দেশ দেয়। কিন্তু তা অমান্য করেই সংসদে বিল এনে আইন তৈরির পথে হাঁটল কেন্দ্র। লক্ষ্য একটাই, নির্বাচন কমিশনার পদে বিজেপি ঘনিষ্ঠ ও তাঁবেদার অফিসার নিয়োগ, যাতে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত করা যায়। সামনের লোকসভা ভোটের আগে পক্ষপাতদুষ্ট নিয়োগের পথ খোলা রাখতেই দ্রুততার সঙ্গে বিল পাশ করানো হল।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দ্রুত শেষের পথে নির্মাণকাজ, শেষ পর্যায়ের কাজ দেখতে মন্ত্রী
দেশের নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ বিলটি মঙ্গলবার রাজ্যসভায় পাশ করিয়ে নেয় মোদি সরকার। গত ২ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট একটি মামলার রায়ে জানিয়েছিল, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের জন্য একটি কমিটি গঠন করতে হবে। সেই কমিটিতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা অথবা দ্বিতীয় বৃহত্তম দলের সংসদীয় নেতা এবং দেশের প্রধান বিচারপতি। যদিও মঙ্গলবার রাজ্যসভায় সরকারের তরফে পাশ করানো বিলে বলা হয়েছে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটিতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা অথবা দ্বিতীয় বৃহত্তম দলের সংসদীয় নেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত একজন কেন্দ্রীয় পূর্ণমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-কৃষকবন্ধু সহায়তা প্রদান বারাসতে
ফলে, একদিকে প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যদিকে তাঁরই মনোনীত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যকে কমিটির অন্তর্ভুক্ত করে সরকারপক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধি রাখার ব্যবস্থা হল। এর উদ্দেশ্য, কোনও নামে বিরোধিতা এলেও যাতে তা সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের দোহাই দিয়ে অনুমোদন করানো যায়। এই পদ্ধতিতে নিয়োগ করা নির্বাচন কমিশনার কতটা নিরপেক্ষভাবে কাজ করবেন তা নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে। এর আগেই লোকসভায় এই সংক্রান্ত বিল পাশ করিয়ে নেয় কেন্দ্র। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় বিরোধীদের আপত্তি অগ্রাহ্য করে ধ্বনিভোটে বিল পাশ করায় সরকার।