প্রতিবেদন : রাজ্য সরকার রেশন দোকানগুলিতে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে। রাজ্যে বর্তমানে ৩৬০০র বাশি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে। ছয় হাজারের কাছাকাছি রেশন দোকানে এই পরিষেবা চালু হলে আরও বহু সংখ্যক মানুষ উপকৃত হবেন বলে খাদ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। বিএসকে মারফত রাজ্য সরকারের ৪০টি দফতরের ৩২৩টি পরিষেবা অনলাইনে বিনামূল্যে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন-২০ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর
রেশন দোকানগুলিতে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করার জন্য ইতিমধ্যেই অর্থ দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। রেশন দোকানে বিএসকে চালু হলে সরকার ও সাধারণ মানুষের সুবিধার দিকগুলি প্রস্তাবে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। খাদ্য দফতরের সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিএসকে গড়তে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো এবং পরিচালনার খরচ রেশন ডিলারকে বহন করতে হবে। তবে পরিষেবা প্রদান বাবদ তারা নির্দিষ্ট হারে টাকা পাবেন। কিন্তু সাধারণ মানুষকে এই পরিষেবা দেওয়া হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
আরও পড়ুন-হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে গণধর্ষিতা তরুণী, নারী নিরাপত্তা কোথায় যোগীরাজ্যে?
রাজ্যে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে অনলাইন লেনদেনের পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা ছুঁয়ে ফেলেছে। এক বছরের মধ্যেই বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে এই অঙ্কের লেনদেন হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে বিদ্যুতের বিল, খাজনা, মিউটেশন ফি, মোটর ভেহিকলস আইনের অধীনে জরিমানা জমা নেওয়ার পরিষেবা চালু হয়। এই সময়ে একদিনে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে সর্বোচ্চ লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। গ্রামাঞ্চলে সকলের হাতে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ নেই। ইন্টারনেট সংযোগও নেই। অথচ, এখন বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন অনলাইনে করতে হয়। বিভিন্ন দফরের ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্যও থাকে। মূলত তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত মানুষের জন্যই মুখ্যমন্ত্রী বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করেন। সরকারের নিজস্ব প্রকল্প এবং পরিষেবাগুলির নিবিড় প্রচার আরও সহজে করতেও এই বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলি কাজ করে চলেছে।