প্রতিবেদন : ছ’মাস ধরে ছক কষেছে ৬ জনে। পরিচয় সামাজিক মাধ্যমে। ৬ জনের কেউ থাকে হরিয়ানায়, কেউ আবার যোগীরাজ্যের লখনউয়ে। গুরুগ্রামে বসে সংসদে হামলার ছক। স্থানীয় দু’জনের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, হরিয়ানা থেকে বাকিরা এসে জুটত। অথচ এদের কারওরই টিকিটি ছুঁতে পারেনি নরেন্দ্র মোদির গোয়েন্দা দফতর। এর দায়িত্ব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কী করে এড়াবেন? স্বরাষ্ট্র দফতরের ব্যর্থতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই ৬ জন।
আরও পড়ুন-এবারের কলকাতা বইমেলায় আসছেন UK-র সব বড় প্রকাশক
এরপর বুক বাজিয়ে দেশ সুরক্ষিত, এই মন্তব্য করা কি প্রধানমন্ত্রীর সাজে? সাগর শর্মা ও ডি মনোরঞ্জন, এরা দর্শকাসন থেকে অধিবেশন কক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। লখনউয়ের বাসিন্দা। বুলডোজার বাবা যোগী আদিত্যনাথের গোয়েন্দারা কী নাকে সরষের তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন? অমল শিন্ডে আর নীলম পরিবহণ দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছে। হরিয়ানার বাসিন্দা। হরিয়ানার বিজেপি সরকারকে এই দায়িত্ব নিতেই হবে। গুরুগ্রামের বাসিন্দা ললিত ঝাঁ ও বিকি শর্মাও পুলিশের জালে। গোয়েন্দাদের কাছে এই ৬ জনের হামলার খবর কেন আগাম ছিল না? রাজনৈতিক কোনও দলের সঙ্গে যুক্ত না হলেও এদের মূল তোপ ছিল কৃষি আইন আর মণিপুরে সরকারের অত্যাচার নিয়ে। সিআইএসএফ, প্যারা মিলিটারি ফোর্স, দিল্লি পুলিশ সকলকে জবাব দিতে হবে। জবাব দিতে হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেই। যেখানে সংসদ সুরক্ষিত নয়, সেখানে দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ কী, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বুধবারের ঘটনা।