প্রতিবেদন : আবার রেলের অপদার্থতা। বিরাট দুর্ঘটনার মুখোমুখি যাত্রীবাহী ট্রেন। চূড়ান্ত গাফিলতি। কাপলিং ছিঁড়ে দুটি কামরা নিয়ে বেরিয়ে গেল মুম্বই মেলের (Mumbai Mail) ইঞ্জিন। বাকি কামরা পড়ে রইল বীরশিবপুরে। রেলমন্ত্রক যে কার্যত অনাথ অবস্থায় রয়েছে তার প্রমাণ এই দুর্ঘটনা। প্রাণহানির মতো ঘটনা না ঘটলেও বিরাট দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ছিল। কপালজোরে রক্ষা। কিন্তু রেলমন্ত্রকের এতটুকু হেলদোল নেই। সিপিআরও নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বলছেন, কাপলিং ছিঁড়ে গিয়েছিল। দ্রুত স্বাভাবিক হবে। শুক্রবার রাত ৭.৪০ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল হাওড়া মুম্বই মেলের। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৩৩ মিনিট দেরি করে ৮.১৩ তে ছাড়ে ট্রেনটি। বীর শিবপুর স্টেশন পৌঁছানোর পর কাপলিং ছিঁড়ে দুটি কামরা নিয়ে বেরিয়ে যায় ট্রেনের ইঞ্জিন। বাকি কামরা পড়ে থাকে লাইনের উপর। ঘটনার পর বন্ধ হয়ে যায় ট্রেনের এসি, ছিল না জল। চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হন যাত্রীরা। হাওড়া স্টেশন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর আচমকা রাত ৮টা ৫০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে যায়। দীর্ঘ পথ পেরিয়ে যাওয়ার পর দুর্ঘটনার কথা জানতে পারেন ট্রেনের (Mumbai Mail) চালক। ফেরানো হয় ইঞ্জিন। কাপলিং জোড়া দেওয়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু ব্যর্থ হন রেলকর্মীরা। এরপর দুটি কামরা থেকে যাত্রীদের শীতের রাতে লাইনে নামিয়ে দেওয়া হয়। দুটি কামরা নিয়ে ট্রেন যায় কারশেডে। সেখান থেকে কামরা-সহ ইঞ্জিন আসার পর যাত্রীরা ট্রেনে ওঠেন এবং কার্যত ভোররাতে ট্রেনটি মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়। টানা ৫ ঘণ্টা প্রায় ২০০ জন যাত্রী যে নরকযন্ত্রণা শুক্রবার রাতে ভোগ করলেন, তার জন্য রেলমন্ত্রকের এতটুকু কোনও সহানুভূতির মন্তব্য মেলেনি। অপদার্থতার চূড়ান্ত নিদর্শন দেখতে গেলে এখন কেন্দ্রের সরকারের রেল দফতরই যথেষ্ট।
আরও পড়ুন- আন্তর্জাতিক মহলে কোণঠাসা, এবার ইরানে বিনা ভিসায় প্রবেশাধিকার ভারত-সহ ৩৩ দেশের