প্রতিবেদন : ফের বাম আমলের নিয়োগে বেনিয়ম। স্কুল কলেজের শিক্ষক, অধ্যাপক থেকে শুরু করে একের পর এক চিরকুটে চাকরির প্রমাণ আগেই মিলেছে। এবার সামনে এল ভুয়ো ডিগ্রি নিয়ে হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজে অধ্যাপক নিয়োগের বেনিয়ম। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তথ্য-প্রমাণ সহ এক ভুয়ো ডিগ্রিধারী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের পর্দা ফাঁস করল পশ্চিমবঙ্গ প্রোগ্রেসিভ জুনিয়র ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-জাপান নিয়ে বই
শ্যামল মুখোপাধ্যায় নামক ওই ব্যক্তি বাম আমলের মন্ত্রী অনাদি সাহুর আশীর্বাদে জাল সার্টিফিকেট নিয়ে ডি এন দে হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজে অধ্যাপক নিযুক্ত হন ১৯৯২ সালে। যিনি ১৯৮৩-১৯৮৬ সালে একই সঙ্গে ডিএমএস করেন ডি এন দে হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ এবং বিএসসি করেন বঙ্গবাসী কলেজ থেকে। দুটি ফুলটাইম কোর্স একই সঙ্গে কোনওদিন করা যায় না বলেই দাবি পশ্চিমবঙ্গ প্রোগ্রেসিভ জুনিয়র ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনের। সংগঠনের আরও দাবি, শ্যামল মুখোপাধ্যায় সার্ভিস বুকে নিজেকে বিএইচএমএস (গ্রেডেড) বলে উল্লেখ করেন, যদিও ওঁর সার্ভিস বুকের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি পাওয়া যায়নি। এরপর ২০০৪ সালে এমডি ডিগ্রি কিনে আনেন রাজস্থানের জেআরএনভি ইউনিভার্সিটি থেকে।
আরও পড়ুন-শীর্ষেন্দুর হাত ধরে প্রথমবার বাংলায় কুভেম্পু পুরস্কার
২০১০ সালে কিনে আনা জাল ডিগ্রি সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ হোমিওপ্যাথিতে নথিভুক্ত করতে গেলে তা খারিজ হয়ে যায়। কারণ, সার্টিফিকেটে কোন সাবজেক্টে এমডি করেছিলেন তার উল্লেখ ছিল না। এছাড়াও অনেক অসঙ্গতি মিলেছে সার্টিফিকেটে। উনি নিজেকে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বলে দাবি করেন। কিন্তু আরটিআই মারফত জানা যায় যে ওঁর প্রিন্সিপাল হওয়াটাও ভুয়ো। এই সমস্ত জালিয়াতি ভিজিল্যান্স-এ ধরা পড়ে এবং ওঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ভিজিল্যান্সের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রিন্সিপাল পদ থেকে সরে যেতে বলে। পশ্চিমবঙ্গ প্রোগ্রেসিভ জুনিয়র ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনের প্রশ্ন, একজন ভিজিল্যান্স খাওয়া ব্যক্তি কীভাবে অবসরের পরেও ২ বছর রি-এনগেজড-এ প্রিন্সিপাল পদে থাকতে পারেন? এটা দুর্নীতির শামিল। উনি বাম আমলে বেনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওই জাল চিকিৎসকের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করা হয়েছে সংগঠনের তরফে।