প্রতিবেদন : বাংলার প্রাপ্য দিতে হবে। বাংলার হকের টাকা আটকে রাখতে পারে না কেন্দ্রের সরকার। বাংলা থেকে টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে, অথচ ভাগের টাকা পর্যন্ত দিচ্ছে না। রবিবার দিল্লি পাড়ি দেওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের একবার সরব হলেন কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে। উগরে দিলেন ক্ষোভ। রবিবার বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আবাস থেকে স্বাস্থ্য— সব টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। বাংলাকে বঞ্চিত করছে পরিকল্পনা করে। বাংলাই একমাত্র রাজ্য, যাদের টাকা আটকে রাখা হয়েছে। বাংলার গরিব খেটে খাওয়া মানুষের হকের টাকা আমরা আদায় করে ছাড়বই। সেজন্যই আমি দিল্লি যাচ্ছি।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান, বাংলার বাড়ির টাকা আটকে রেখেছে, একশো দিনের টাকা আটকে রেখেছে। এমনকী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের টাকা পর্যন্ত আটকে রেখেছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রঙ গেরুয়া করা হয়নি বলে টাকা আটকে রাখা হয়েছে, ভাবা যায়! গ্রামীণ রাস্তার টাকাও দেয়নি কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটা কেন্দ্রের একার টাকা নয়, আমাদেরও ভাগ আছে। জিএসটির টাকা এখান থেকে তুলে নিয়ে গিয়েও বাংলার প্রাপ্য দেয়নি কেন্দ্র। এই বঞ্চনার প্রতিবাদে অভিষেকরা অনেক আন্দোলন করেছে। সাংসদরা দিল্লি অভিযান করেছেন। সাংসদ-বিধায়ক-মন্ত্রীরা একশো দিনের কাজের কর্মীদের নিয়ে ধরনা করেছেন। আমি নিজেও ৪৮ ঘণ্টা ধরনায় বসেছি। বিধানসভায় ধরনা হয়েছে, রেজুলেশন পাশ হয়েছে। এর আগে তিনবার আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। আবার যাচ্ছি। ২০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ কয়েকজন সাংসদ থাকবেন তাঁর সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মানুষের দাবিদাওয়ার কথা জানাতে তাঁর সঙ্গে কয়েক জন সাংসদও প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবেন। সেই তালিকায় অভিষেক ছাড়া আর কে কে থাকবেন, তা তিনি জানিয়ে দেবেন শীঘ্রই।