প্রতিবেদন : শুক্রবার তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে (Bargavima temple) বিয়ের ধুম লেগে যায়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে ৪০ যুগলের বিয়ে। মন্দিরে পাঁচ পুরোহিত পাঁচ জায়গায় বিয়ের আসরে দিনভর বিয়ের মন্ত্রোচ্চারণে ব্যস্ত ছিলেন। রাজ্যের পাশাপাশি ভিনরাজ্যের যুগলেরাও মন্দিরে এসে সারলেন বিয়ে। ছিলেন দু’পক্ষের আত্মীয়-বান্ধবরা। অন্যান্য মন্দিরে সাধারণত বিয়েতে সিঁদুরদান ও মালাবদল হয়। কিন্তু এই শক্তিপীঠে হস্তবন্ধন থেকে কন্যা সম্প্রদান, শুভদৃষ্টি, অগ্নিসাক্ষী রেখে সাত পাকে ঘোরা, সিঁদুরদান ও মালাবদল সবটাই হয় শাস্ত্রমতে বিয়ের সব রীতি মেনে। এবং সরকারি বিধি অনুযায়ী। অনেকের বিশ্বাস, বর্গভীমা (Bargavima temple) মায়ের আশীর্বাদ সঙ্গে থাকলে জীবনে সুখসমৃদ্ধি আসে। তাই তাঁর আশীর্বাদ নিয়ে অনেকেই বছরের শেষ বিয়ের দিনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ছিল এলাহি ভোজের আয়োজন। বর্গভীমা মাতা মন্দির কমিটির সম্পাদক শিবাজি অধিকারী বলেন, মন্দিরে প্রায় সারা বছর কমবেশি বিয়ে হয়। তবে বাংলা বছরের শেষ বিয়ের দিন পড়ায় শুক্রবার সংখ্যাটা ছিল অনেক বেশি। রবিবার এঁদের অনেকের যথারীতি প্রীতিভোজের আসর ছিল। তবে এখানে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পাত্রপাত্রীর বয়সের প্রমাণ দেখে শাস্ত্রমতে সব নিয়ম মেনেই বিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- বীরভূমে ফের প্রকাশ্যে চলে এল বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব