সাংসদ হানার মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা চাওয়ায় একই দিনে লোকসভা আর রাজ্যসভা মিলে তৃণমূলের ১৬ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল। আর সেই ঘটনা যখন ঘটছে তখন রাজধানীতে বসেই দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করছেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই ঘটনায় চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘ভাগ্য ভাল যে, আমি এখন সাংসদ নই!’’। বৈঠক সেরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল সুপ্রিমোর বিস্ফোরক মন্তব্য, ওরা সব বিরোধীদের সাসপেন্ড করছে। জনতাই ওদের সাসপেন্ড করবে।
সোমবার, লোকসভার অধিবেশনে অন্য সব বিষয়ে সরিয়ে রেখে, বিল পেশ না করে সংসদ হানার বিষয়ে আলোচনার দাবি জানিয়ে আওয়াজ তোলেন তৃণমূল সাংসদরা। রাজ্যসভাতেও একই দাবিতে সরব হন তৃণমূলের সংসদরা। কিন্তু সেই দাবিতে কান না দিয়ে বিল পেশে মেতে ওঠে কেন্দ্রের শাসকদল। সেই সব আলোচনা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করায় তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ-সহ ৯জনকে লোকসভা থেকে ও সাতজনকে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়। লোকসভা থেকে এদিন মোট ৩৩জন বিরোধীদলের সাংসদকে সাসপেন্ড করেন অধ্যক্ষ। সেই সময় সংসদীয় বৈঠকে ছিলে তৃণমূল সুপ্রিমো। এই খবর কানে যেতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। তীব্র প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, ‘‘যা ঘটছে, তা কাঙ্খিত নয়। স্বৈরতন্ত্র চলছে। একনায়কতন্ত্র চলছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’ এরপরেই তীব্র কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, ’’আমি ভাগ্যবান যে, আমি সাংসদ নই এখন।’’
আরও পড়ুন- লোকসভা থেকে সাসপেন্ড ৯ তৃণমূল সাংসদ-সহ ৩৩ বিরোধীদলের জনপ্রতিনিধি
বৈঠক সেরে বেরোনোর সময় সাংবাদিকরা তৃণমূল সভানেত্রীকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। বলেন, ’’এ তো দেখছি পুরো পার্লামেন্ট সাসপেন্ড হওয়ার মতো অবস্থা। ওরা সবাইকে সাসপেন্ড করছে। জনতাই এবার ওদের সাসপেন্ড করবে।’’