প্রতিবেদন : করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় জোরদার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই রাজ্যের প্রতিটি বাসিন্দাকে করোনা টিকার আওতায় আনার ওপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে। এজন্য এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণ কর্মসূচি চালাতে পঞ্চায়েত, পুরসভার মতো স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। বিশেষ করে প্রবীণ, অসুস্থ, শারীরিকভাবে অক্ষম বা বিশেষভাবে সক্ষমদের খুঁজে বের করে তাঁদের টিকাকরণের উপর জোর দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন-মোদি সরকারের বিমাতৃসুলভ আচরণের জের, আটকে গেল রাজ্যের ১০০ দিনের টাকা
স্বাস্থ্যসচিব সৌমিত্র মোহন করোনা টিকা বিষয়ক একটি নির্দেশিকা রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের পাঠিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, প্রতিটি বাড়িতে টিকাকরণের আওতায় থাকা প্রত্যেক সদস্যের টিকা নেওয়া হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। এই কাজের জন্য বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। বিশেষভাবে খোঁজ নিতে হবে টিকার প্রথম ডোজের ব্যাপারে। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় ডোজ সংশ্লিষ্ট পরিবার পেয়েছে কি না, তাও নথিভুক্ত করতে হবে। দ্রুত ওই কাজ শেষ করে এখনও টিকা না পাওয়া মানুষকে তা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যাঁরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না, এমন অশক্ত বা অসুস্থ ব্যক্তি থেকে শুরু করে বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে স্থানীয়স্তরে।
আরও পড়ুন-অটোয় চেপে নজরদারি পুলিশের
২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি থেকে রাজ্যে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যের মানুষকে ৭.৪ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়েই এই হিসেব। টিকাকরণ পর্ব এক বছরের সময়সীমা ছুঁতে চলেছে। এই অবস্থায় স্বাস্থ্য ভবন চাইছে, টিকা পাওয়ার যোগ্য কেউই যেন এর আওতা থেকে বাদ না যায়। সেই কারণে গত সেপ্টেম্বরে স্বাস্থ্যভবন বিশেষভাবে সক্ষম ও প্রায় শয্যাশায়ী এমন মানুষদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করে টিকা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ইতিমধ্যেই সেই কাজ রাজ্যে বিভিন্ন পুরসভা ও পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে শুরু হয়েছে।