প্রতিবেদন : চাপে পড়ে দুঃখ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাইকোর্টের দু’নম্বর বারে গিয়ে আইনজীবীদের বয়কট তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানালেন তিনি। মাইক হাতে তুলে নিয়ে দুঃখপ্রকাশও করলেন। বললেন, স্যরি, মাথা গরম ছিল। কাজের ক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে। রাগের কথা মাথায় রাখবেন না। ২৩ বছর বারের সদস্য ছিলাম। যা হয়েছে ভুলে যান। রাগ-অভিমান করে থাকবেন না। নতুন বছর আসছে। প্লিজ, পুরনো কথা ভুলে কাজে আসুন। যে আইনজীবীকে তিনি হেনস্থা করেছিলেন সেই প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও এদিন কথা বলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কথা শুনে বয়কট তুলে নেন আইনজীবীরা। ফলে দু’দিনের বয়কটের ইতি ঘটে এদিন। বার অ্যাসোসিশনের সম্পাদক বিশ্বব্রত বসু মল্লিক জানালেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) নিজের ভুল বুঝতে পেরে নিজেই এসেছিলেন আইনজীবীদের কাছে। দুঃখপ্রকাশও করেছেন। তাই তাঁর অনুরোধ মেনে নিয়ে বয়কট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এদিন ১১টা ৩৩ মিনিটে নিজের এজলাসে বিচারপতি এসে দেখেন আইনজীবীদের বয়কট চলছে। ফলে ১১টি মামলার শুনানি থাকলেও ২৪ মিনিটে মাত্র ৫টি মামলার শুনানি হয়। ফলে ১১টা ৫৭ মিনিটে এজলাস ছেড়ে উঠে চলে যান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যাওয়ার সময় বলে যান, বার অ্যাসোসিয়েশনে গিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি আদালতের কাজ সচল রাখার জন্য। বিচারপতির উদ্যোগে অনেকটাই নরম হন ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা। তাঁর অনুরোধ শুনে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেন বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। বিষয়টি মিটমাট করে হাইকোর্ট সচল রাখার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন আইনজীবীরা। এরপরেই বয়কট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত।