প্রতিবেদন: রাজ্যে টেট পরীক্ষার দিনই হচ্ছে বিজেপির গীতা পাঠ অনুষ্ঠান। মূলত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন বিজেপির। এবার এই নিয়েই মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। পাশাপাশি ডিএ আন্দোলনকারীদের পিছনে কোনও রাজনৈতিক সংগঠনের ইন্ধন রয়েছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
লক্ষ্য কণ্ঠে গীতা পাঠ অনুষ্ঠান নিয়ে এদিন প্রশ্ন তোলেন শিক্ষামন্ত্রী (Bratya Basu)। তিনি বলেন, লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ হলে কী দেশে আরও বেকারত্ব কমবে? গীতাপাঠ হলে দ্রব্যমূল্যের দাম কি কমবে? পরিযায়ী শ্রমিক কমে যাবে? যদি হয় তাহলে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠকে আমি স্বাগত জানাব। এই কর্মসূচির সঙ্গে দেশের অর্থনীতি, বিকাশের কী সম্পর্ক আছে আমি জানি না। যদি থাকে তো ভালো। রাজ্য আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বারবার বৈঠকে বসে সমাধান সূত্র খোঁজার চেষ্টা করছে। এমনকি এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরাও রাজ্য সরকারের সঙ্গে যখন বৈঠক করে সন্তোষ প্রকাশ করছেন ঠিক সেই সময় ডিএ আন্দোলনকারীরা তাদের প্ররোচিত করছে তাদের সঙ্গে এসে আন্দোলনে যোগদান করার জন্য। এই প্রসঙ্গে কার্যত উষ্মা প্রকাশ করেছেন ব্রাত্য বসু। তাঁর কথায়, ওদের আন্দোলনের পদ্ধতি, ওরা কিভাবে আন্দোলন করবেন, কাকে আহ্বান জানাবেন, কাকে জানাবেন না, তার পিছনে কতটা রাজনীতি আছে, কতটা রাজনৈতিক সংগঠনের ইন্ধন আছে, এগুলো ওইভাবে সারফেসে বলা যায় না। ওরা কী করবে ওদেরই জিজ্ঞেস করুন। এদিন দমদমের ইন্দিরা ময়দানে দমদম বইমেলা শুরু হল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিনোদন থেকে শিক্ষা, অবসর যাপন থেকে নিঃসঙ্গতা দূর, সবেতেই বই শ্রেষ্ঠ অবলম্বন হতে পারে। বই অতীত থেকে ভবিষ্যৎ, নিকট থেকে দূরে, প্রান্ত থেকে অন্তে এমনকি যুগ থেকে যুগান্তরে জ্ঞানের আলোকে পৌঁছে দিতে পারে। আর বই সেই আত্মশিখনের শ্রেষ্ঠ সহায়ক। সেই লক্ষ্যেই দমদমের বিধায়ক ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উদ্যোগে শনিবার থেকে শুরু হল ১১তম দমদম বইমেলা। ২৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিকেল ৪টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে বইমেলা। এদিন বইমেলার উদ্বোধনে শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যক আবুল বাশার, দমদমের সাংসদ সৌগত রায়, দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপিতা দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যরা।