সকালে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন তথাগত রায়। দলের দিল্লির নেতৃত্ব কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে ঘৃণা করি বলেছিলেন। বিজেপির অন্দরমহলে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। আর সন্ধ্যায় দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ফেসবুক পোস্ট কার্যত দলের অন্দরে আগুন জ্বালিয়ে দিল। যার উত্তর দিতে গিয়ে কার্যত ল্যাজে-গোবরে হলেন দলের বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
আরও পড়ুন-কোর্টের শর্ত মেনেই তুমুল উন্মাদনা অভিষেকের সভায়
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরেই দিলীপ লেখেন, ‘অনেক দালাল নির্বাচনের আগে আমাদের দলে ঢুকে গিয়েছিলেন। কিছুজন গিয়েছেন, কিছু এখন রয়েছেন। তাঁরা উৎপাত করছেন। সবাইকে বাদ দেব। এঁরা চান না বিজেপি শক্তিশালী হোক।’ এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এটা শুভেন্দুকে লেখা দিলীপ ঘোষের খোলা চিঠি। দিলীপবাবুই ওকে দালাল এবং ক্ষতিকারক মনে করেন। দিলীপের এই পোস্টের পরেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। প্রশ্ন ওঠে, দিলীপ বলেছেন এখনও কিছু দালাল দলে রয়ে গিয়েছেন। এই দালাল কারা? তিনি কি ঘুরিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকেই টার্গেট করেছেন। তিনি ছাড়া আর কে কে সেই ‘দালাল’, সেই বিতর্কে বিজেপি টালমাটাল। একের পর এক বিধায়ক দল ছাড়ছেন। একে অন্যের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখছেন। আর বিজেপির উত্তরবঙ্গ থেকে আসা রাজ্য সভাপতি উত্তর দিতে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছেন। বিজেপির অবস্থা এখন শাঁখের করাতের মতো। যেতেও কাটছে, আসতেও কাটছে। কিন্তু দিলীপের এই মন্তব্য যে নিশ্চিতভাবে দলের কোন্দলকে সামনে নিয়ে এল, অস্বস্তি বাড়াল।