প্রতিবেদন : রাজ্য জুড়ে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হল টেট। গীতাপাঠের মধ্যে দিয়ে বিজেপি যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল তাকে সম্পূর্ণ ব্যর্থ করে দিয়ে রাজ্য জুড়ে কড়া নজরদারিতে হল টেট পরীক্ষা। এদিন সকাল ১১টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে যান পরীক্ষার্থীরা। ১১.৪৫ মিনিটে তাঁরা প্রশ্নপত্র হাতে পান। পরীক্ষা শুরু হয় ১২টায়। শেষ হয় আড়াইটে নাগাদ। প্রায় ৩ লাখ ৯ হাজার ৫৪ জন পরীক্ষার্থী এবার অংশগ্রহণ করেন পরীক্ষায়। সব থেকে বেশি পরীক্ষার্থী ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে।
আরও পড়ুন-স্বামীজিকে অসম্মান, ফাঁকা মাঠে বাংলার মাথা হেঁট করল বিজেপি
প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের কন্ট্রোল রুম থেকে ৭৭৩টি কেন্দ্রের উপর লাইভ স্ট্রিমিং করে পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে চালানো হয় অতিরিক্ত বাস। এবারে প্রথম টু প্লাই সিস্টেমে পরীক্ষা হয়। এক্ষেত্রে গোলাপি ও সবুজ দুটি উত্তরপত্র ছিল। গোলাপি উত্তরপত্র মুখবন্ধ খামে জমা দেন পরীক্ষার্থীরা। অপরদিকে, সবুজ উত্তরপত্রটি বাড়ি নিয়ে যান তাঁরা। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর জন্য ছিল পৃথক প্রশ্নের সেট।
এদিন পর্ষদের সহ-সচিব পার্থ কর্মকার বলেন, যত দ্রুত সম্ভব ফল প্রকাশ করা হবে। এক্ষেত্রে ফল প্রকাশের আগে মডেল উত্তরপত্র দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীরা তাদের উত্তর মিলিয়ে দেখতে পারবেন। কোনও ক্ষেত্রে পর্ষদের সঙ্গে উত্তরের মিল না থাকলে উত্তরপত্র চ্যালেঞ্জ করা যাবে। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময় দেবে পর্ষদ।
আরও পড়ুন-হার রাম-বাম জোটের, তমলুকে তৃণমূল জিতল সমবায়ে
এদিকে, স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা হওয়ার পরেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ওঠে। যদিও এই বিষয়টিকে একেবারেই আমল দিতে চাননি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পর্ষদের থেকে ব্যাখ্যা চেয়েছি। কেউ ১.৫১ মিনিটে পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে এই প্রশ্নপত্রের ছবি ছেড়েছে হয়ত। ভেতরে কেউ এই বিষয়টি জানতে পারেনি। পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে এর প্রভাব পড়েনি। পরীক্ষা বাতিলের কোনও প্রশ্নই নেই। পর্ষদ আগে রিপোর্ট দিক তারপর ভেবে দেখব।