প্রতিবেদন : বাংলায় বিনিয়োগ আসছে। আসতে শুরু করেছে বিদেশি লগ্নিও। কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সেই ধারা অব্যাহত রাখতে রাজ্য জোর দিয়েছে উন্নয়নে। সর্বোপরি যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই লক্ষ্যে কলকাতা ও শহরতলির জেলাগুলি তো বটেই, গোটা রাজ্য জুড়েই শুরু হয়ে গিয়েছে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন দেশ ও বিদেশ থেকে বিনিয়োগ এনে রাজ্যে কর্মসংস্থানের জোয়ার বইয়ে দিতে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
চলতি আর্থিক বছরে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে অর্থাৎ গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬৮৫ কোটি টাকার প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে বাংলায়। এপ্রিল থেকে ছ’মাসের হিসেব কষলে বিনিয়োগের অঙ্ক ১১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগে আশার আলো দেখছে রাজ্য প্রশাসন। শুধু তাই নয়, গত চার বছরে বিদেশি বিনিয়োগের পরিসংখ্যানে যথেষ্ট উজ্জ্বল রাজ্য।
আরও পড়ুন-গৃহবন্দি মুফতি, কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে তোপ কেন্দ্রকে
যোগাযোগ ব্যবস্থা একটি দেশ বা রাজ্যের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এক্ষেত্রে রাজ্যের সড়ক ব্যবস্থা নিয়ে মহাপরিকল্পনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পরিকল্পনামাফিক বাস্তবায়নের পথে হাঁটছে তাঁর সরকার। এই সড়ক পরিকল্পনার বাস্তবায়নের সুফলও তুলতে চাইছে বাংলা। মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন, বাংলায় কর্মসংস্থানের জোয়ার আনতে। এক কোটি কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন, লগ্নি কখনও রাতারাতি আসে না। তার জন্য জমি তৈরি করা দরকার। সেজন্য প্রশাসনের ভাবমূর্তি ভালো করতে হবে, শিল্পায়নের নীতি আকর্ষণীয় করতে হবে, আর যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নীত করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনাকে বাস্তব রূপ দিয়ে কলকাতা পুরসভা থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন পর্ষদ কাজে নেমে পড়েছে। আয় বৃদ্ধি ও ব্যবসায় উৎসাহ দিতে কলকাতা পুরসভা কমার্শিয়াল জোনে ৬৯০টি রাস্তার অন্তর্ভুক্তি করেছে। রাস্তার দু-ধারে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে। কমার্শিয়াল জোনের তালিকাভুক্ত ছিল ১৪১টি রাস্তা। এখন সংযুক্ত হচ্ছে আরও ৬৯০টি। ঢেলে সাজানো হচ্ছে সুন্দরবনের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে। একাধিক সেতু, জেটি, রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা জানান, মোটা ১১টি সেতু, ১৯টি জেটি তৈরি হচ্ছে। ৪০টি রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে। দ্রুতগতির পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলাই লক্ষ্য। রফতানি বাণিজ্যে গতি আনতে সড়ক ও জলপথের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।