প্রতিবেদন : আবার শিরোনামে বিজেপি রাজ্য মণিপুর। রাজ্যের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীকে অপহরণের ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে অপহরণ করা হয় মণিপুরের জনপ্রিয় গায়ক আখু চিংগাংবামকে। ইম্ফল পূর্বের অধীন খুরাইয়ের বাসিন্দা চিংগাংবাম। তাঁর অপহরণের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই তপ্ত মণিপুরের রাজ্য রাজনীতি। গায়ককে উদ্ধার করতে তৎপর হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। পাশাপাশি এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন চিংগাংবাম ভক্তরা।
আরও পড়ুন-ভারতের সংসদীয় রাজনীতিতে কি তবে হিটলারের প্রত্যাবর্তন?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার পরিবারের সদস্যদের সামনে থেকেই অপহরণ করা হয় আখুকে। তাঁর স্ত্রী ও মায়ের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে দুষ্কৃতীরা তুলে নিয়ে যায় ওই গায়ককে। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত গায়কের পরিবারের সদস্যরা। আখু হলেন ফোক-রক মিউজিক ব্যান্ড, ইম্ফল টকিজ অ্যান্ড দ্য হাউলারস-এর প্রতিষ্ঠাতা-গীতিকার। নিজের গানে মণিপুরে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন বা আফস্পা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছেন তিনি। এছাড়াও, আদিবাসী সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে উঠে এসেছে আখুর গান। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে নিজের গানে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এই শিল্পী।
আরও পড়ুন-৬ হাজার নার্সের চাকরি রাজ্যে
দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করার পর থাই ভার্সিটিতে কসমোলজিতে পোস্ট-ডক্টরাল করেন আখু। তাঁর সঙ্গীত প্রতিবাদের অস্ত্র হিসেবে উঠে এসেছে বারবার। দান্তেওয়াড়ায়, কাশ্মীরী, মণিপুরি বা আদিবাসীদের প্রতি কীভাবে অবিচার করা হয়েছে তা নিয়ে একের পর এক জনপ্রিয় গান রচনা করেছেন ও গেয়েছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এমন এক শিল্পীর অপহরণের পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত দেখছে আখু চিংগাংবাম ভক্তরা।