প্রতিবেদন : পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করেই রেলের জমিতে বাস করা গরিব মানুষকে উচ্ছেদ করছে অমানবিক রেল। প্রবল শীতে ফাঁকা জায়গায় ত্রিপল খাটিয়ে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন রামপুরহাটের শতাধিক পরিবার। কয়েক বছর আগে রামপুরহাটে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে ধুলোডাঙা রোডের ধারে বস্তিবাসীর দুর্দশা চাক্ষুষ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-অযো.গ্য: কোর্টে ফের ধা.ক্কা খেলেন ট্রাম্প
এরপরই সরকারি জায়গায় আবাসন বানিয়ে শতাধিক পরিবারের পুনর্বাসনেরও ব্যবস্থা করেন বাংলার মানবিক মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এই শহরের অন্য অংশের বস্তিবাসীরা রেলের অমানবিকতায় উচ্ছেদ হলেন তাঁদের ঝুপড়ি থেকে। প্রসঙ্গত, রামপুরহাটের অর্ধেক অংশেই রেলের অব্যবহৃত জায়গা আছে। সেখানে বাড়ি বানিয়ে বহু বছর বাস করেন বহু দুঃস্থ পরিবার। তাঁদের ভোটার-আধার কার্ডও আছে। রামপুরহাট জংশন অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতাভুক্ত হতেই রেল তাদের জায়গা উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বহু বাড়ি ভেঙে রেল খালি করেছে জায়গা। উচ্ছেদ হওয়া কোনও কোনও পরিবার ছোট বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন। সামর্থ্যহীনেরা প্রবল শীতে ফাঁকা জায়গায় ত্রিপল খাটিয়ে পরিবার নিয়ে থাকছেন। দিনকয়েক ধরে রামপুরহাটের নাগরিকদের অভাব-অভিযোগ শুনতে পুরপ্রধান সৌমেন ভগত নিয়েছেন দুয়ারে চেয়ারম্যান কর্মসূচি। সেইমতো বৃহস্পতিবার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে এলে উচ্ছেদ হওয়া মানুষজন তাঁকে কাতর আর্জি জানিয়ে বলেন, একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিন।
আরও পড়ুন-লালনের ইস্তফা, জেডিইউয়ের রাশ নীতীশের হাতেই
সৌমেনবাবু জানান, এই ওয়ার্ডে রেলওয়ে ইনস্টিটিউট লাগোয়া রেলের ফাঁকা জায়গায় অনেকে দীর্ঘদিন বসবাস করছিলেন। রেল সেই সব বাড়ি ভেঙে দেওয়ায় রাস্তায় নামতে হয়েছে বহু পরিবারকে। অনেকের ছোট ছোট শিশু রয়েছে। এখানে তো রেলের প্রচুর জায়গা আছে। আমরাও উন্নয়ন চাই। কিন্তু পুঁজিপতিদের স্বার্থে ব্যবসায়িক মনোভাব নিয়ে রেলের এই বস্তি উচ্ছেদ কিছুতেই মানব না। আগে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। বস্তি উচ্ছেদ শুরু হতেই তৃণমূল বস্তিবাসীদের নিয়ে রেলের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতিমধ্যে ঝুপড়িবাসীদের অন্যত্র সরে যেতে রেল মৌখিক জানানোয় ফের গৃহহারা হতে চলেছেন কয়েকশো পরিবার। এই অবস্থায় বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য পূর্ব রেলের ডিআরএমকে চিঠি দিচ্ছে তৃণমূল। তার আগে বস্তি উচ্ছেদ করতে এলে রেলকে বাধা দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে দল।