সংবাদদাতা, হুগলি : নবরূপে সেজে উঠছে দেবানন্দপুরে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভিটে। রাজ্য পর্যটন দফতরের উদ্যোগে তৈরি হবে পর্যটনকেন্দ্র। এরফলে যেমন স্থানীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হবে ঠিক তেমনই যোগ্য সম্মান দেওয়া যাবে কথা সাহিত্যিককে। ইতিমধ্যেই এই স্থানকে সাজিয়ে তোলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছেন। কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভিটে ও গ্রাম অনাদরে ধুঁকছিল। ঝুল জমেছিল সাহিত্যিকের স্মৃতি বিজরিত জন্মস্থানে।
আরও পড়ুন-অমানবিক রেলের উচ্ছেদ, গৃহহারা গরিব, মানুষের পাশে তৃণমূল, পুনর্বাসনের দাবি
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্য সরকার এই স্থানে পর্যটন কেন্দ্র করার কথা ঘোষণা করে। শরৎচন্দ্রের বসত বাড়ি সংস্কার, একটি সংগ্রহশালা, তাঁর নামাঙ্কিত একটি সেমিনার হল ও স্কুল ছাড়া এই গ্রামে আর কিছু হয়নি এতদিন। স্থানীয়দের দাবি ছিল হাওড়ার সামতাবেড়ের মতো হুগলির দেবানন্দপুরকেও পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হোক। সেই মতই ইচ্ছে পূরণ হতে চলেছে তাঁদের। রাজ্য পর্যটন দফতরের উদ্যোগে দেবানন্দপুরে শরৎচন্দ্রের জন্মস্থানে গড়ে তোলা হবে বিশ্রাম ঘর। সংস্কার করা হবে প্যারী পণ্ডিতের পাঠশালা। একইসঙ্গে সংস্কার করা হবে সংগ্রহশালা, চারটি শিবমন্দির। সংস্কার করা হবে স্মৃতি মন্দির চত্বরে থাকা কথাশিল্পী শরৎচন্দ্রের মূর্তি, সেমিনার হল এবং স্মৃতি মন্দির। এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শরৎচন্দ্রের বিভিন্ন স্মৃতিগুলিকে ঢেলে সাজানো হবে। এ প্রসঙ্গে হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্য বলেন, আগামী দু’তিন মাসের মধ্যে সব কাজ শেষ করা হবে। জেলা প্রশাসনের আশা এই পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার পর পর্যটকদের ভিড় বাড়বে।