আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমেছে প্রায় ২ শতাংশ। ব্যারেল প্রতি ব্রেন্ড ক্রুড অয়েল (Crude Oil) বিক্রি হচ্ছে কমবেশি ৭৯ ডলারে এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড অয়েল বিক্রি হয়েছে ৭৫ ডলারের নীচে। ভারতেও জ্বালানি তেলের দাম বেশ কিছুটা কমা উচিত। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী (Hardip Shingh Puri) কেন্দ্রকে সেই মর্মে সুপারিশ করছেন। কেন্দ্রীয় সরকার এরপরেও দেশের বাজারে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমাচ্ছে না। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা যদিও মনে করছে লোকসভা ভোটের দিকে নজর রেখেই আরও পরে অর্থাৎ ভোটের মুখে দাম কমাবে মোদি সরকার। এর ফলে প্রচারের অনেকটাই সুবিধা হবে।
আরও পড়ুন-কোভিড নিয়ে বাড়ছে চিন্তা, সর্বোচ্চ সংক্রমণের দিকে এগোচ্ছে দেশ
দিল্লিতে পেট্রোল-ডিজেলের দাম ১০০টাকার নীচে হলেও, কলকাতা-সহ দেশের অন্যান্য মেট্রো শহরে পেট্রোলের দাম ১০০টাকার উপরে। কলকাতায় শনিবারের দাম লিটার প্রতি ১০৬.০৩ টাকা। আর ডিজেল একশোর সামান্য কম। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের (Crud Oil) দাম কমেছে। ২ শতাংশ কমে এখন ব্যারেল প্রতি দাম ৮০ ডলারের নীচে। এই পরিস্থিতি ভারতের বাজারেও জ্বালানি তেলের দাম কমার কথা। সেই মতো ইঙ্গিতও দিয়েছেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী। কিন্তু মোদি সরকারের চোখ লোকসভা ভোটে। সেই কারণে ভোটের মুখে দাম কমিয়ে ইভিএম ভরাতে চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এটা তাদের পুরনো চাল। যে কোনও নির্বাচনের আগেই জ্বালানি তেল, রান্নার গ্যাসে দাম কমিয়ে ভোটারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে বিজেপি। ভোটপর্ব মেটার শুধু অপেক্ষা। ইভিএম স্ট্রং রুমে ঢোকার আগেই দাম বাড়িয়ে দেয়। এবারেও সেই কৌশলই নিয়েছে মোদি সরকার- মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেই কারণেই আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমলেও ভারতে দাম কমানো হয়নি। তবে, আগামী বছরের শুরুতে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমানো কথা ঘোষণা হতে পারে। দেশের সব জায়গাতেই ১০টাকা মতো কমিয়ে ১০০ টাকার নীচে দুই জ্বালানি তেলের দাম রাখবে কেন্দ্র।