আজ, শনিবার দুপুরে রাজারহাটের (Rajarhat) কাছে নারায়ণপুরে একটি ফ্ল্যাটের ভিতরে ঘটে গেল এক ভয়াবহ ঘটনা। চিৎকার শুনে ফ্ল্যাটে গিয়ে প্রতিবেশীরা দেখেন ফ্ল্যাটের ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে মহিলার দেহ৷ তাঁর পাশেই পড়ে তাঁর কিশোরী কন্যা৷ শুধু তাই নয়, ঘরের মধ্যে ঝুলছে গৃহকর্তার দেহ।
আরও পড়ুন-শহর জুড়ে জোর নিরাপত্তা, বর্ষবরণের রাতে ময়দানে আড়াই হাজার পুলিশ
নারায়ণপুরের স্যর রমেশ মিত্র রোডের একটি আবাসনের একতলার ফ্ল্যাট থেকে চিৎকারের শুনে ছুটে যান স্থানীয়রা। দেখা যায়, ঘরের মধ্যেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে রূপা মুখোপাধ্যায়ের দেহ৷ পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে তাঁর কন্যা রূপসা। ঘরের মধ্যে গৃহকর্তা সাগর মুখোপাধ্যায়ের দেহ ঝুলছে। এই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে শিউরে ওঠেন এলাকাবাসী। খবর দেওয়া হয় নারায়ণপুর থানায়। স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হলেও, জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁদের ১৪ বছরের কন্যাকে। তাঁকে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিধাননগরের পুলিশ (Police) কমিশনার গৌরব শর্মা ও স্থানীয় বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে তরুণীর গায়ে পেট্রল ঢেলে আ.গুন জ্বা.লিয়ে দিলেন যুবক
স্থানীয় সূত্রে খবর, পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী সাগর পাড়ায় ভালো মানুষ বলেই পরিচিত ছিলেন। পরিবার তেমন অশান্তি দেখেনি কেউ। ঘরের ভিতর থেকেই একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ (Police)। সূত্রের খবর, বাজারে নিজের দেনার কথা সেখানে উল্লেখ করেছেন ওই ব্যবসায়ী৷ সেই কারণেই আত্মহত্যা কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। রূপসার অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে তার সঙ্গে কথা বলবেন তদন্তকারীরা। দেহদুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।