প্রতিবেদন : ত্রিপুরাতেও কংগ্রেসের ভাঙন অব্যাহত। পাশাপাশি ভাঙছে বিজেপিও। এই দুই দলের বেশ কিছু নেতা ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লিখিয়েছেন। সোমবার কংগ্রেস নেতা রতনচন্দ্র দাস এবং এবারের পুর নির্বাচনের দলীয় প্রার্থী সুতপা ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এদিন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেবের উপস্থিতিতে তাঁরা দলের পতাকা হাতে তুলে নেন।
আরও পড়ুন : ফের পথে কৃষকরা,ভোগান্তি বাড়াচ্ছে পেট্রোল-গ্যাস
আসন্ন পুর নির্বাচনে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন সুতপা। কংগ্রেস নয়, স্বাভাবিকভাবেই তিনি এবার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে লড়বেন। অন্যদিকে, ২০১৮ সালের ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন রতনচন্দ্র দাস। কংগ্রেসের অনেকেই মনে করছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে এই দল প্রকৃত লড়াইয়ের জায়গায় নেই। তাই তাঁরা ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে শুরু করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরায় ক্রমশই নিজেদের ঘর গোছানোর কাজ শুরু করেছে। এদিন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, রতন দাস এবং সুতপা ঘোষের পিছনে ওই দলের আরও অনেক নেতা রয়েছেন, যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চান। খুব শীঘ্রই তাঁরা আমাদের দলে যোগ দেবেন। কারণ তাঁরা বুঝতে পেরেছেন যে, কংগ্রেসের ক্ষমতা নেই ত্রিপুরাকে বিজেপি মুক্ত করার। ক্ষোভে ফুঁসছেন ত্রিপুরাবাসী। যার প্রতিফলন ঘটতে পারে ২০২৩-এর ভোট বাক্সে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তন হবে।