সোমনাথ বিশ্বাস, আগরতলা: বর্বর ত্রিপুরার বিপ্লব দেব সরকার। সকালে সাংসদ সুস্মিতা দেবের উপর আক্রমণ। অল্পের জন্য রক্ষা পান তিনি বিজেপি হার্মাদদের হাত থেকে। সকালে ব্যর্থ হয়ে ফের রাতে হামলা। এবার গভীর রাতে আগরতলা পুর নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্ভাব্য প্রার্থী সংহিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বিজেপির গুণ্ডাদের আক্রমণ। বাড়িতে ঢুকে হামলা চালানো হয় সংহিতার ছেলে ও মেয়ের উপর। নৃশংসভাবে তাদের মারা হয়। গুরুতর আহত হয়ে দুজনে হাসপাতালে। আর পরে সংহিতাকে পেয়ে মেরে তাঁর হাত ভেঙে দেওয়া হয়। গায়ে, মাথায়, পায়ে রড, লাঠি দিয়ে মারা হয়। গুরুতর আহত সংহিতা হাসপাতালে থাকতেও নিরাপদ মনে করেননি। সংহিতাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দলের আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক বলেন, বর্বর ত্রিপুরা সরকারের আসল রূপ দেখুক মানুষ। এই হামলার পরেও সংহিতা জানান, তিনি ভয় পাননি। কাপুরুষদের বিরুদ্ধে তিনি ভোটে লড়বেন। মেরে তাঁকে রাজনীতি থেকে সরাতে পারবে না হার্মাদ বিজেপি।
আরও পড়ুন-কালীপুজোর উদ্বোধনে স্পষ্ট বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, ‘ওরা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে, আমরা করি লড়াই’
কাঁঠালতলিতে সকালে রতন দাসের সঙ্গে দেখা করতে গেলে সুস্মিতার গাড়ি ঘিরে হামলা হয়। এর আগে ২২ অক্টোবর সুস্মিতা দেব আক্রান্ত হন ত্রিপুরার মাটিতে। হাতে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন তিনি। টাকার ব্যাগ ও মোবাইলও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। ত্রিপুরা পুলিশের ডিজিকে তথ্য-প্রমাণসহ অভিযোগ জানানোর পরেও এখনও পর্যন্ত সেই দুষ্কৃতীদের একজনকেও গ্রেফতার করা হয়নি। তার মাঝে এদিন ফের হামলার ঘটনা।
আরও পড়ুন-তৃণমূলে যোগদান চলছে
ত্রিপুরায় একের পর এক দলীয় নেতা-নেত্রীর উপর হামলার ঘটনায় বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে আগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। গত শুক্রবার শীর্ষ আদালতে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেছেন তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব। একই সঙ্গে ওই রাজ্যের রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণ আর্যকেও লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন তিনি। সুস্মিতার দাবি, ত্রিপুরায় রাজনৈতিক প্রচারে তৃণমূল কংগ্রেসকে বারবার বাধা দেওয়া হচ্ছে। হিংসার শিকার হচ্ছেন দলীয় নেতা-নেত্রীরা। তৃণমূলের কার্যালয়, গাড়ি ভাঙচুর এবং ভোটপ্রচারের সামগ্রীও নষ্ট করা হচ্ছে। বিপ্লব দেবের রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনেরও আর্জি জানিয়েছেন সুস্মিতা।