সংবাদদাতা, মুরারই : শুক্রবার বিকেলে কর্মিবৈঠক ছিল সাংসদ শতাব্দী রায়ের। সেখানে পরিষেবা এবং সরকারি আধিকারিকের অসহযোগিতার অভিযোগ পেয়ে কালবিলম্ব না করে বৈঠক থেকেই ব্লকের ভূমি ও ভূমিসংস্কার আধিকারিক এবং রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে ফোন করে ব্যবস্থা নিতে বললেন সাংসদ।
আরও পড়ুন-নতুন ফৌজদারি আইন বুঝতে কমিটি গঠন
মানুষের ক্ষোভ নিরসনে দুটি বিষয় দেখার জন্য কমিটিও গড়ে দিলেন। মানুষের অভিযোগ পেয়ে মুরারই ব্লক স্বাস্থ্য হাসপাতালে পরিষেবা নিয়ে মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিককে ফোন করেন। পাশাপাশি ব্লকের ভূমি ও ভূমিসংস্কার আধিকারিকের অসহযোগিতা নিয়ে তাঁকে ফোন করায় এলাকার মানুষ খুশি তাঁদের কাছের মানুষ সাংসদের জন্য। গত নির্বাচনের চুলচেরা বিশ্লেষণের পাশাপাশি দলীয় অভিমান ও ব্যক্তিগত রাগকে সরিয়ে লোকসভা ভোটে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন সাংসদ।
আরও পড়ুন-মোদি-সেলফি বুথের খরচ ফাঁস হতেই রেলের কড়া নিয়ম লাগু
তিনি বলেন, ‘‘মুরারইয়ে এমপি ল্যাড এবং বিধায়ক তহবিলের টাকায় প্রচুর ভাল কাজ হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা বাংলার জন্যই প্রচুর কাজ করেছেন। সামাজিক ক্ষেত্রে যা পরিবর্তন এনেছে। তাই বাংলার মানুষ তাঁকেই ভোট দেবেন। তবে ভোট যেন ভাগ না হয় তা দেখতে হবে। আর মানুষকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কথা বললেই সেটা হবে। মুরারই ২ ব্লকের পাইকরে দলীয় কার্যালয়ে পাইকর ১ ও ২ (জাজিগ্রাম) পঞ্চায়েতের সাংগঠনিক বৈঠক হয় দুই পর্যায়ে। গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য, বুথ ও অঞ্চলের নেতৃত্ব মিলে ১৩০ জনকে নিয়ে হল কর্মিসভা। সেখানে বিধায়ক মোশাররফ হোসেন এবং সাংসদ শতাব্দী রায়, ব্লকের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সহিদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী এবং প্রাক্তন-নতুন সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে বৈঠক করে এলাকার সর্বশেষ পরিস্থিতি যাচাই করা হয়।