প্রতিবেদন : কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে দ্বারস্থ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। গত ৩ জানুয়ারি প্রাথমিকের প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ৪২,৯৪৯ জনের নিয়োগের প্যানেল প্রকাশের জন্য দশদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার আদালতে ২০১৪ সালের টেস্ট সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এই রায় দেন তিনি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে যে এই প্যানেল আগেই প্রকাশ করা হয়েছে। জেলাভিত্তিক সেই প্যানেলের সমস্ত তথ্য ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। তাই সেক্ষেত্রে নতুন করে এর পুনরাবৃত্তি সম্ভব নয়। কিন্তু আদালত সে কথাকে মান্যতা না দেওয়ায় এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
আরও পড়ুন-জিআই ট্যাগ পেয়ে ফুলিয়ায় তাঁতিরা নতুনভাবে উদ্দীপিত
যখন জেলাভিত্তিক প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তখন বিচারপতি অমৃতা সিনহা গোটা বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। মামলাটি এখনও বিচারাধীন রয়েছে। এর মাঝে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেওয়ায় কিছুটা হলেও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সৌমেন নন্দী ও রমেশ মালিক মামলায় বিচারপতি সিনহা একই নির্দেশ দিলেও তার উপর আবার সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ দিয়েছে। ফলে ডিভিশন বেঞ্চের স্থগিতাদেশের পর সিঙ্গল বেঞ্চ আবার কী করে ওই একই নির্দেশ দেয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এর মাঝেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।