খায়রুল আলম, ঢাকা : বিরোধী দল বিএনপির ভোট বয়কটের ডাক আর শাসক দল আওয়ামী লিগের ক্ষমতা পুনর্দখলের স্লোগানে শেষ হল নির্বাচনী প্রচার। কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। রবিবার বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মধ্য দিয়ে শেষ হল এবারের নির্বাচনী প্রচারপর্ব। দেশের অন্যতম বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে।
আরও পড়ুন-জিআই ট্যাগ পেয়ে ফুলিয়ায় তাঁতিরা নতুনভাবে উদ্দীপিত
নির্বাচনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে মূলত আওয়ামী লিগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে। এবারের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ও বাম দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা হলেও আছে স্বতন্ত্র প্রার্থীও। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের সঙ্গে স্বতন্ত্রের জোরদার লড়াই। এরই মধ্যে প্রাক-নির্বাচনী সংঘর্ষে হতাহত হয়েছে অনেকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে।হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগ বেশি নৌকা প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এবারের নির্বাচনে অন্তত ২২০টি আসনে সাড়ে তিনশোর বেশি স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোটের মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
আরও পড়ুন-নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
এমনও আসন আছে যেখানে নৌকার প্রার্থীর বিপরীতে চারজন আওয়ামী লিগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। প্রতীক দেওয়ার পর গত ১৭ দিনে ২০০টির বেশি জায়গায় হিংসা ছড়িয়েছে। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচন ঘিরে ১৮ থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ দিনে হামলা, সংঘর্ষ, নাশকতা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দেশের বিভিন্ন থানায় ১৮৪টি মামলা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ২১৫ জনকে। জননিরাপত্তা বিভাগের নির্বাচন সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সেলে ১৪ দিনে ৪৬১টি অভিযোগ জমা পড়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২ লাখ ১৫ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে। সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ৪ লাখ ৭২ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে। এবারের নির্বাচনে মোট ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাবেন। এবার ৩০০ নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৫-১৭ জনের নিরাপত্তা সদস্যের একটি দল মোতায়েন করা হবে। সব মিলিয়ে অপেক্ষা আর কয়েক ঘণ্টার।