প্রতিবেদন : চার কেন্দ্রেই উপনির্বাচনে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই জয়ে গোয়া থেকে এল শুভেচ্ছাবার্তা। সম্প্রতি দলে যোগ দিয়েছেন লুইজিনহো ফেলিরো। তিনি লিখেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের বাংলার নেতৃত্বকে অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন এই জয়ের জন্য। এই জয় বলে দিচ্ছে যে ভারত এবার যোগ্য নেতাকে চাইছে। গোয়াতেও তা প্রতিফলিত হচ্ছে। আমরা নিশ্চিত এখানে শীঘ্রই নতুন ভোর আসবে।”
আরও পড়ুন : টাকা না পাওয়ায় অক্সিজেন দিল না স্বাস্থ্যকর্মী, আইসিইউতে মৃত্যু ৪ বছরের শিশুর
৪-০ করার লক্ষ্যে চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনে ঝাঁপিয়েছিল তৃণমূল। উপনির্বাচন হলেও তাকে হালকাভাবে না দেখার বার্তা ছিল শীর্ষ নেতৃত্বের। মঙ্গলবার ভোটগণনার শুরু থেকেই দেখা গেল জোড়া ফুল প্রত্যাশামতোই এগোচ্ছে ফল। বিজেপি-কে দুরমুশ করে চারটি কেন্দ্রেই অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশে মূল যে বিষয়টি নজরে আসে তা হল, ল্যান্ড স্লাইড ভিক্ট্রির পরে রাজ্যে আরও শক্ত হয়েছে তৃণমূলের ভিত। আর কোণঠাসা হতে হতে কার্যত নিশ্চিহ্ন হওয়ায় পথে বিজেপি।
যে উত্তরবঙ্গের ফল নিয়ে এবাররে বিধানসভা ভোটে আত্মতুষ্টিতে ভুগেছে বিজেপি, সেই উত্তরবঙ্গের দিনহাটায় ৬ মাসের মধ্যে ভোটারদের মতবদল। রেকর্ড ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে হারালেন তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ।
আরও পড়ুন : বিজেপিকে শুভ দীপাবলির শুভেচ্ছা জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
দ্বিতীয়টি হল শান্তিপুর । সেখানেও নির্বাচনে জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। কিন্তু বিধায়ক পদে শপথ নেননি তিনি। সেই কেন্দ্রে হয় উপনির্বাচন। এবার তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী বড় ব্যবধানে জেতেন সেখানে।খড়দহ তৃণমূলের জেতা আসন। কাজল সিনহার মৃত্যুতে এখনে ভোট হয়। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ভোটের ব্যবধান অনেক বাড়িয়েছেন। এখানে উল্লেখ্য হল বিজেপির জয় সাহাকে পিছনে ফেলে কিছুটা সময়ের জন্য দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বামপ্রার্থী তথা যুবনেতা দেবজ্যোতি দাস। একলাখের উপর ভোটে গোসাবা জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল। সেখানেও কার্যত দাঁত ফোটাতে পারেনি গেরুয়া শিবির।
একনজরে চার কেন্দ্রে জয়ের ব্যবধান-
• দিনহাটায় ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩১১টি ভোটে জয়ী উদয়ন গুহ
• গোসাবায় ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ভোটে জয়ী সুব্রত মণ্ডল
• খড়দহ ৯৩ হাজার ৮৩২ ভোটে জয়ী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
• শান্তিপুরে ৬৩ হাজার ৮৯২ ভোটে জয়ী ব্রজকিশোর গোস্বামী
এই ফল থেকে সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূলের জমি আরও শক্ত হল। ২০২৪-এর নির্বাচনের জন্য বঙ্গ বিজেপি বড় শিক্ষা পেল বলে মত রাজনৈতিক মহলের।