শীর্ষ আদালতে অবশেষে বড় জয় পেল বিলকিস বানো (Bilkis Bano)। গুজরাট সরকারকে রীতিমত ধাক্কা দিয়েই ১১ জন ধর্ষকের মুক্তি আটকাল সুপ্রিম কোর্ট। আজ, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে বিলকিস বানো মামলার শুনানি হচ্ছিল। গুজরাট সরকারের আসামীদের মুক্তির সিদ্ধান্তকে ভুল জানিয়ে ১১ জন আসামীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। গুজরাট সরকার বিলকিস বানোকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত ১১ জনকে মুক্তি দিয়েছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিলকিস বানো। বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অভিযুক্তদের সাজার মেয়াদ পূরণের আগেই মুক্তি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট এদিন প্রশ্ন তুলল।
আরও পড়ুন-কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে ভয়া.বহ আ.গুন, ঘরছাড়া বহু
শীর্ষ আদালত এদিন গুজরাট সরকারের বিলকিস বানোর ১১ ধর্ষককে মুক্তির সিদ্ধান্ত বাতিল করে। শীর্ষ আদালতের তরফে এদিন বলা হয়, গুজরাট সরকারের এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আইনত বৈধ নয়। নির্যাতিতার অধিকার সংরক্ষণ করা বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। মহিলাদের সম্মান করা উচিত। ২০০২ সালের মে মাসে গুজরাট সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেটা একপ্রকার তথ্য লুকানো ও প্রতারণা।
আরও পড়ুন-নেতাই-নন্দীগ্রাম হাই.জ্যাক করছে গ.দ্দার : তোপ শশীর
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময় বিলকিস বানো গণধর্ষিত হন। সেই সময় ৫ মাসের গর্ভবতী ছিলেন বিলকিস। তাঁর চোখের সামনে ৩ বছরের কন্যা সহ পরিবারের ৭ সদস্যকে কুপিয়ে খুন করা হয়। এই অবস্থায় আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। ২০০৮ সালে মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই কোর্ট অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। বম্বে হাইকোর্ট এরপর সেই রায় বহাল রাখে। ১৫ বছর কারাবাসের পর, ১১ আসামীর মধ্যে একজন সুপ্রিম কোর্টে মুক্তির আবেদন জানান। সুপ্রিম কোর্ট গুজরাট সরকারকে এই দায়িত্ব দেয়। গুজরাট সরকারকে আসামীদের সাজা মকুবের বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়। একটি কমিটি গঠন করে গুজরাট সরকার। ওই কমিটিই ১৯৯২ মওকুফ নীতিতে ১১ জনের মুক্তির সুপারিশ করে জানায় ১১ জন সংস্কারী ব্রাহ্মণ। ১১ বছর সাজা পেয়ে তাঁরা জেলে ভাল আচরণ করেছেন। ২০২২ সালে ১৫ই অগাস্ট গুজরাট সরকার অভিযুক্তদের সসম্মানে মুক্তি দেয়। বিলকিস বানো গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।