স্রেফ নিয়মরক্ষার বক্তৃতা। রবিবারের ৭৯ তম ‘মন কি বাত’-এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এড়িয়ে গেলেন সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। টোকিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় খেলোয়াড়দের শুভেচ্ছা জানিয়ে মন কি বাত শুরু করলেও, এড়িয়ে গেলেন সংসদের বাদল অধিবেশন তোলপাড় করা জ্বলন্ত ইস্যুগুলি। ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করে বিরোধী রাজনীতিক সহ একাধিক সাংবাদিক, সমাজকর্মী, সরকারি আধিকারিক, এমনকী কেন্দ্রের মন্ত্রীদের ফোনে আড়ি পাতার মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। পেগাসাস নিয়ে আলোচনা দুরস্ত, এখনও পর্যন্ত কোনও যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যাই দিতে পারেনি সরকার।
আরও পড়ুন-উপত্যকায় ফের সাফল্য, সেনার গুলিতে ঝাঁঝরা দুই জঙ্গি
শুধুমাত্র বিরোধী দলগুলিকে গালমন্দ করেই দায়িত্ব শেষ বিজেপি নেতাদের। বিরোধী স্বর দমন করতে ফোন ট্যাপিং এর মত ব্যক্তিস্বাধীনতার পক্ষে বিপজ্জনক ও অগণতান্ত্রিক কাজ করেও নিরুত্তর কেন্দ্রের শাসক দল। প্রত্যাশিতভাবেই বিরোধীরা এনিয়ে জবাব চাইছেন মোদির কাছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সংসদের ভিতরে যেমন এনিয়ে পাশ কাটাচ্ছেন, তেমনি মন কি বাতেও এত বড় ইস্যুতে নিরুত্তর। একইসঙ্গে, তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন কৃষক সমস্যার ইস্যুও। কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত বছর থেকে লাগাতার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন দেশের অন্নদাতা কৃষকরা। আন্দোলন চলাকালীন বহু কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন-মর্মান্তিক! মুম্বইয়ের নির্মীয়মান বহুতলে কাজ করার সময় মৃত্যু বাংলার ৩ শ্রমিকের
তার পরেও চূড়ান্ত অসংবেদনশীল কেন্দ্রীয় সরকার। উল্টে মীনাক্ষি লেখির মত মন্ত্রী সংসদে কৃষকদের প্রতি অপমানজনক মন্তব্য করছেন। সংসদের অধিবেশন চলাকালীন দিল্লির যন্তরমন্তরের সামনে ধরনা দিচ্ছেন কৃষকরা। অথচ প্রধানমন্ত্রী নীরব। কৃষক সমস্যা নিয়ে মন কি বাতে কোনও বার্তা নেই। এর পাশাপাশি করোনা টিকাকরণ নিয়ে দেশে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে কেন্দ্রীয় নীতির কারণে। বাংলা সহ বহু রাজ্যে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম সংখ্যক কোভিড ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে মোদি সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তা নিয়েও মন কি বাতে কোনও উচ্চবাচ্য করলেন না মোদি।