প্রতিবেদন : বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কেউ কেউ। অনেকে বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কুকথা বলে। কিন্তু বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও জায়গা নেই। কারণ কলকাতা হল বেস্ট সিটি। কলকাতা নিরাপত্তায় দেশ-সেরা হয়েছে। শ্রীরামপুর থানাও দেশের সেরা। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট তুলে ধরেই বিরোধীদের দাবি নস্যাৎ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি এদিন স্টুডেন্টস ইন্টার্নশিপ স্কিম ও যোগ্যশ্রী প্রকল্পের সূচনা করেন। স্টুডেন্টস ইন্টার্নশিপ স্কিমে বিভিন্ন সরকারি দফতরে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাবেন কলেজ বা ইউনিভার্সিটির পড়ুয়ারা। আর ‘যোগ্যশ্রী’ প্রকল্পে তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত পড়ুয়ারা সরকারি চাকরির পরীক্ষা থেকে শুরু করে ডাক্তারি ও নিটের প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
সোমবার ধনধান্য-র সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাকে কেউ দশটা গালি দিক আমার গায়ে লাগে না। তবে বাংলাকে গালি দিলে আমার গায়ে লাগে। বাংলাকে কেউ নীচু করলে আমার আপত্তি আছে। কেননা, বাংলা আইনশৃঙ্খলা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের অন্য রাজ্যের থেকে এগিয়ে। কলকাতা মহিলা নিরাপত্তায় দেশের সেরা। এদিনই কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত ভাঙড় ডিভিশনের পোলের হাট, কাশীপুর, চন্দনেশ্বর, ভাঙড় থানার নতুন ভবন ও ভাঙড় ট্রাফিক গার্ডের অফিস উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। খেয়াদা ১ ও ২-কেও ভাঙড় ডিভিশনের মধ্যে যুক্ত করার কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন-এক্তিয়ার ছাড়িয়ে যাচ্ছেন বিচারপতি, তোপ কুণালের
এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই বছর থেকে আড়াই হাজার ছাত্রছাত্রীকে এক বছরের জন্য ইন্টার্নশিপ দেওয়া হবে। তাঁরা যোগ্য হয়ে থাকলে তাঁদের চাকরি রিনিউ করার কথা ভাববে সরকার। তৃতীয়বার বাংলার মসনদে বসার পর তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানে জোর দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যোগ্যশ্রী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগেও সাফল্য এসেছে এ-ধরনের উদ্যোগ থেকে। ২৮৮০ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ২২৫৪ জন বিভিন্ন টেকনিক্যাল কোর্সে সুযোগ পেয়েছে। আবারও এই প্রকল্পে রাজ্যের পড়ুয়ারা যোগ্যতার প্রমাণ দেবেন বলে আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী।