প্রতিবেদন : লোকসভায় অনৈতিকভাবে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ কেড়ে নেওয়ায় গোটা বাংলা জুড়ে তোলপাড় পড়ে যায়। লোকসভার কক্ষে মহুয়াকে (Mahua Moitra) তাঁর স্বপক্ষে কিছু বলতে না দেওয়ার বিষয়টা ভাল চোখে দেখেনি অন্যান্য বিজেপি-বিরোধীরা দলগুলিও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এ-বিষয়ে সরব হন। দলের নিচুতলার নেতা-কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত কেউই সাংসদের এই বহিষ্কার মেনে নেননি। ফলে একেই লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগরে বড় ইস্যু করতে চলেছে তৃণমূল। তাঁদের সাংসদের বহিষ্কারের যোগ্য জবাব এবার ভোটবাক্সে অর্থাৎ ইভিএমে দিতে চান তৃণমূল নেতারা। কয়েক সপ্তাহ ধরে তাই তাঁরা এই ইস্যুতে লাগাতার সভা ও মিছিল করে বিষয়টিকে সাধারণের সামনে তুলে ধরছেন। জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্র নিজেও কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের নানা এলাকায় ঘন ঘন জনসভা করছেন। কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমানের কথায়, বাংলায় মুখ্যমন্ত্রীর বহু প্রকল্প এবং তাঁর উন্নয়নযজ্ঞ আমাদের দলের বড় হাতিয়ার। কেন্দ্রের মোদি সরকার যেভাবে আমাদের সাংসদকে বহিষ্কার করেছে, তার প্রতিবাদে কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। এখানে জয় সুনিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। পাশাপাশি ভোটের আগে সংগঠন মজবুত করার দিকেও নজর দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। ইতিমধ্যেই কৃষ্ণনগর উত্তর, দক্ষিণ বিধানসভা, কালীগঞ্জের অঞ্চল সভাপতি বদল করা হয়েছে। এ নিয়ে কিছু ক্ষোভ থাকলেও বিজেপিকে আটকাতে তাকে বড় করে না দেখে সবাইকে নিয়েই একজোট হচ্ছে তৃণমূল। গড়রক্ষায় রাজ্য সরকারের উন্নয়ন তাদের বড় হাতিয়ার। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) সাংসদ তহবিলের টাকায় হওয়া কাজের তালিকা বেশ দীর্ঘ। সেটাও তৃণমূলের বড় প্লাস পয়েন্ট। এর সঙ্গে তাঁর অনৈতিক বিতাড়ন ইস্যুটিকে লোকসভা ভোটে জোরালো হাতিয়ার হিসাবে কাজে লাগাতে মাঠে নেমে পড়েছেন জেলা তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। সভা, মিছিল, ইত্যাদির মাধ্যমে বিষয়টিকে বারবার মানুষের সামনে হাজির করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- মিড ডে মিল থেকে পরিকাঠামো, বাংলার স্কুলের প্রশংসায় কেন্দ্র