প্রতিবেদন : রাজ্যের (West Bengal) বিভিন্ন মন্দির ও তীর্থস্থানের উন্নতিকল্পে রাজ্য সরকার সাতশো কোটি টাকারও বেশি খরচ করেছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, গঙ্গাসাগর মেলায় আমরা প্রায় ২৫০ কোটি টাকা এবারও খরচ করেছি। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, কালীঘাট মন্দির শুধু রিলায়েন্স একা করছে না। ওঁরা শুধু সোনার চূড়াটা করছেন। আর ভিতরের কিছু অংশের কাজ করছেন। ওখানে আমরা ১৬৫ কোটি টাকা খরচ করেছি। রিলায়েন্স আরও ৩৫ কোটি টাকা খরচ করেছে। দিঘায় হিডকো জগন্নাথ মন্দির তৈরি করছে। ওখানে সরকার ২০৫ কোটি টাকা খরচ করেছে। উত্তর ২৪ পরগনার কচুয়া ও চাকলা ধামের আধুনিকীকরণে আমাদের সরকার যথাক্রমে ৯ কোটি ও ১৫ কোটি টাকা দিয়েছে। তারকনাথ মন্দির, মাহেশেও অনেক উন্নয়নের কাজ আমরা করেছি।
তারাপীঠের উন্নয়ন করা হয়েছে। ফুল্লরা মন্দিরের জন্য এক কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। বক্রেশ্বর উষ্ণ প্রস্রবণেও অনেক টাকা খরচ করা হয়েছে। জল্পেশ শিবমন্দিরের উন্নতিকল্পে ৩১.৭ কোটি টাকা খরচ করেছে এই সরকার। এ ছাড়াও ইসকনের জন্য ৭০০ একর জমির অনুমতিও দিয়েছি আমরা। অনুকুল ঠাকুরের মন্দিরের জন্যও অর্থ সংস্থান করা হয়েছে। বীরভূমের কঙ্কালীতলা মন্দিরের সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ। তারাপীঠের মন্দির সংস্কার হয়েছে। তারকনাথ মন্দির-সহ রাজ্যের একাধিক মন্দির সংস্কারের কাজ হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রাধান্য উর্দু ও সাঁওতালি ভাষাকে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর