প্রতিবেদন : তোরা যুদ্ধ করে করবি কী তা বল! হাল্লার রাজার সৈন্যদের অস্ত্রশস্ত্র হাতে দৌড়-ঝাঁপ আর হাল্লার রাজার হাঁক-ডাক শুনে এই গান বেরিয়ে এসেছিল গুপি গায়েন আর বায়েনের কাছ থেকে। তারা অবাক হয়েছিল একটি শান্ত রাজ্যে যুদ্ধের কেন প্রয়োজন হল হঠাৎ! আর এত সেনাই বা যাচ্ছে কোথায়! রাজার জটিল-কুটিল অঙ্ক তাদের মাথায় ঢোকেনি। বাংলায় এজেন্সি যেভাবে এক কাঁড়ি সৈন্যসামন্ত (কেন্দ্রীয় বাহিনী) নিয়ে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের বাড়িতে রেইড করতে যাচ্ছেন সেই দৃশ্য দেখে বাংলার মানুষ প্রশ্ন করছেন, তোরা যুদ্ধ করে করবি কী তা বল! আর হাল্লার রাজাকে(বিজেপি সরকার) কত সেনা চলেছে সমরে! এরা কি সত্যিই সমরে এসেছে? না। তা তো নয়। এরা লাঠি-বন্দুক-হেলমেট-বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরে এজেন্সির সঙ্গে রেইডে এসেছে। শুধু পাহারা দেওয়ার কাজ নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Army) জওয়ানরা রীতিমতো উপদ্রুত এলাকায় যেমন এরিয়া ডমিনেশন হয় তেমনভাবে রুট মার্চ করছে।
মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। সেই সঙ্গে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করছে। রাস্তায়, পাড়ার ভিতরের স্বাভাবিক জমায়েতেও তেড়ে গিয়েছে। সেইসঙ্গে অকথ্য ভাষা, অসভ্যের মতো ব্যবহার– কী না করেছে! সঙ্গে কাঁদানে গ্যাসের শেলও নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এরকম যুদ্ধ-যুদ্ধ ব্যাপার কেন? তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সাফ বলা হয়েছে, সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এভাবে বাংলায় টেরর তৈরি করছে এজেন্সি। বিজেপির নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীদের কালিমালিপ্ত করার কাজ চলছে। তা না হলে ১২-১৪ ঘণ্টা ধরে মন্ত্রী সুজিত বসু ও বিধায়ক ও বিধানসভার ডেপুটি চিফ হুইপ তাপস রায়ের বাড়িতে ভোর থেকে তল্লাশির নামে এরিয়া ডমিনেশন হবে কেন?
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এভাবে এজেন্সি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে, ওরা গদ্দারের কাঁথির বাড়িতে যাচ্ছে না কেন? সারদা-নারদায় অভিযুক্ত গদ্দারের বাড়িতে কেন রেইড করছে না এজেন্সি! আসলে ওদেরও হাত-পা বাঁধা। বিজেপির নির্দেশে এজেন্সি যেভাবে কাজ করছে তাতে ওদের সুনাম ধুলোয় লুটিয়ে যাচ্ছে। এজেন্সির কর্তারাও জানেন, তাঁরা যা করছেন তাতে বাংলার মানুষের আবেগে আঘাত করছে। কিন্তু তাঁদের উপায় নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে (Army) সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালাতেই হবে। কারণ সামনে লোকসভা নির্বাচন। বিজেপিকে ফাঁকা মাঠ দিতে হবে যে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরিতে ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলে দেশের সেরা বাংলা