প্রতিবেদন : এই দেশকে জানতে হলে আগে বিবেকানন্দকে (Swami Vivekananda) জানতে হবে। তাঁর ভিতর যা আছে তার সবটাই ইতিবাচক। কোনওরকম নেতিবাচক বস্তু বা ধ্যান-ধারণা তাঁর মধ্যে নেই। স্বামীজি সম্পর্কে বলা এই লাইন উদ্ধৃত করে বিবেকানন্দকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, তিনিই আমার আদর্শ। তাঁর দেখানো পথেই মানবসেবাকে পরম ধর্ম হিসেবে পথচলার পাথেয় করেছি। শুক্রবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বামীজিকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন নেত্রী। এরপর এদিন সন্ধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়াতেই স্বামীজিকে মালা পরিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়।
তার সঙ্গে মুখমন্ত্রী লেখেন, কীভাবে দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করেছেন- পথ দেখিয়েছেন স্বামীজি। সেই পথই যে তিনিও অনুসরণ করছেন তাও লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১২ জানুয়ারি বাংলা তথা দেশের বীর সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। শুক্রবার সকালেই যুগনায়ক স্বামীজিকে তাঁর ১৬২তম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বামীজির (Swami Vivekananda) ছবি এবং বেলুড় মঠের ছবি সম্বলিত পোস্টে লেখা হয় ওই মহামানব আসে, দিকে দিকে রোমাঞ্চ লাগে মর্ত্যধূলির ঘাসে ঘাসে।
মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন যে, স্বামীজির জন্মদিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নানা অনুষ্ঠান হবে। সেইমতো সকাল থেকেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। পাড়ার ক্লাব থেকে সরকারি স্কুল, সর্বত্রই আজ সসম্মানে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন পালিত হচ্ছে। ১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি কলকাতায় নরেন্দ্রনাথ দত্ত জন্মগ্রহণ করেন। আধ্যাত্মিক পথ অবলম্বন করার পর তিনি স্বামী বিবেকানন্দ নামে পরিচিত হন। ভারতের যুব আইকন তথা তরুণ সন্ন্যাসী ১৮৯৭ সালে কলকাতায় রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। একই সময়ে, ১৮৯৮ সালে, গঙ্গানদীর তীরে বেলুড়ে রামকৃষ্ণ মঠও প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৮৯৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় বিশ্ব ধর্ম সাধারণ পরিষদের আয়োজন করা হয়। স্বামী বিবেকানন্দ এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তাঁর ভাষণের পর শিকাগোর আর্ট ইনস্টিটিউটে প্রায় দুই মিনিট ধরে করতালি ধ্বনিত হয়েছিল, যা ভারতের ইতিহাসে গৌরব ও সম্মানের ঘটনা হিসেবে লিপিবদ্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন- স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরিতে ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলে দেশের সেরা বাংলা