প্রতিবেদন : মধ্যপ্রাচ্যের অশান্ত পরিস্থিতির আঁচ এবার লোহিত সাগরে। হুথি জঙ্গিগোষ্ঠীর (Houthi Militia) একপেশে হামলার প্রত্যুত্তর দেওয়া শুরু করল আমেরিকা ও ব্রিটেনের যৌথবাহিনী। ইয়েমেনে আশ্রয় পাওয়া হুথি জঙ্গিদের নিকেশ করতে ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ করল দুই দেশের বাহিনী। ইতিমধ্যেই ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এই আক্রমণের পর পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে হুথি। বড় প্রত্যাঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ব্রিটেন ও আমেরিকাকে।
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই লোহিত সাগর, ইডেন উপসাগরে একাধিক বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর হামলার ঘটনা শুরু হয়। কখনও ড্রোন হামলা, কখনও ক্ষেপনাস্ত্র প্রয়োগ করা হয়। কিছু জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। অনেকক্ষেত্রে আমেরিকার মিসাইল ড্রোন হামলা প্রতিহত করে। তবে এই সব ঘটনার প্রভাব পড়ে গুরুত্বপূর্ণ এই বাণিজ্য করিডরে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কে। এরপরই ইংল্যান্ড ও আমেরিকা একযোগে এই জঙ্গি হামলার প্রত্যুত্তর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরই মধ্যে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে এই বাণিজ্য করিডরের নিরপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়। সেক্ষেত্রে ভারতও আমেরিকার পাশে থাকার আশ্বাস দেয়।
শুক্রবার ভোরে আমেরিকা ও ব্রিটেনের জাহাজ, ডুবোজাহাজ ও বোমাড়ু বিমান থেকে হামলা চালানো শুরু হয় ইয়েমেনে থাকা হুথি গোষ্ঠীর (Houthi Militia) ঘাঁটিগুলির উপর। মূলত ড্রোন হামলা চালানো হত যে সব ঘাঁটি থেকে, তা গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি করে ব্রিটেন। হামলা চালানো হয় বিমানঘাঁটিগুলিতেও। হামলার পর হুথি জঙ্গিরা অনেকটা ভিতরের দিকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে শুরু করে। হামলার পর এদিন ইয়েমেনের হুথি জঙ্গি গোষ্ঠীর মুখপাত্র হুঁশিয়ারি দেন, এইভাবে আক্রমণ চালিয়ে বোকামি করেছে আমেরিকা ও ব্রিটেন। অণুতে পরিণত হলেও এই নির্লজ্জ আক্রমণের জবাব দেওয়া হবে। এই ঘটনায় মৃত ৫ জন সাধারণ নাগরিক না জঙ্গি, সেই পরিচয় প্রকাশ করেনি হুথি।