প্রতিবেদন : নর্থ কাছাড় হিলস অটোনমাস কাউন্সিল (অসম, এনসিএইচএসি) নির্বাচনে কংগ্রেসের থেকে বেশি ভোট পেল দল। তৃণমূলের ভোট শেয়ার ১২.৪০ শতাংশ। কংগ্রেস সেখানে মাত্র পেয়েছে মাত্র ৮.৮৭ শতাংশ। শনিবার রাতে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই তথ্য দিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে লিখেছেন, প্রধান বিরোধী দল হয়েও যারা নিজেদের একসময়কার ঘাঁটিতে জিততে পারে না, জমি ধরে রাখতে পারে না, তারা আশা করে আসন ভাগাভাগির ক্ষেত্রে বাংলায় তাদের তথাকথিত তারকাদের জন্য তাদের পছন্দমতো আসন পাবে বা তাদের ছাড়া হবে! উল্লেখ্য, কংগ্রেস নেতৃত্ব লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে একাধিক আসন আশা করে তৃণমূলের থেকে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস যেখানে একাই বাংলায় বিজেপিকে রুখে দিতে সক্ষম আর সেটা প্রমাণিত, সেখানে কংগ্রেসের এই উচ্চাশা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। বিশেষ করে অসমের এই নির্বাচনী ফলাফলের পর তো এই প্রশ্ন ও চর্চা আরও বেশি করে জোরদার হবে। কী বলবে এবার কংগ্রেস নেতৃত্ব?
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে বারবার বলেছেন, যার যেখানে শক্তি বেশি সে সেখানে লড়াই করুক, প্রার্থী দিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোটের দ্বিতীয় বৈঠকেই আসন রফা চূড়ান্ত করতে বলেছিলেন। মাঝখানে কেটে গিয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। কংগ্রেস তার জেদ থেকে এক চুলও সরেনি। যদি আসন রফার বিষয়টি তৃণমূল সুপ্রিমোর পরামর্শ অনুযায়ী আগেই সেরে রাখা হত বিজেপির এই প্রতিপত্তি থাকত না। বাংলায় যেখানে একক ক্ষমতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপিকে রুখে দিতে পেরেছে, গোটা দেশকে দেখিয়ে দিয়েছে বিজেপির জয়রথ থামানো যায়। সেখানে কংগ্রেস একের পর এক নির্বাচনে বিজেপির কাছে হেরেছে। তারা কোন মুখে দাবি করে আসল রফার ক্ষেত্রে অন্তত বাংলায় অনেকটা ছাড় দেওয়া যেতে পারে! আর দিলেও কি জায়গায় কংগ্রেস আছে? না নেই। অধীর চৌধুরীর মতো যারা বিজেপি ও সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে অপদস্থ করার জন্য সুযোগ খোঁজে, এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল কংগ্রেসের আসল চেহারাটা। এরপর কংগ্রেস নেতৃত্ব বাংলায় আসন নিয়ে কোন যুক্তি সাজিয়ে বাংলায় আসন দাবি করবে?