প্রতিবেদন : আচার্যের কথাই তাঁকে বুমেরাং করে ফিরিয়ে দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সি ভি আনন্দ বোসের দ্বিমুখী কথাতেই তাঁকে প্যাঁচে ফেললেন শিক্ষামন্ত্রী। রাজভবনকে পাঠানো উচ্চশিক্ষা দফতরের চিঠি নিয়ে ট্যুইট করে তীব্র কটাক্ষ ব্রাত্য বসুর।
আরও পড়ুন-তথ্য দিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন অভিষেক
বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে আচার্য তথা রাজ্যপালের সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতার কথা ফের স্মরণ করিয়ে দিয়ে এক কড়া চিঠি দিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর। এরপরেই এক্স হ্যান্ডেলে শিক্ষামন্ত্রী লিখেছেন, রাজ্যপাল বলেছেন তিনি কোনও সরকারি দফতরের প্রশ্নের উত্তর দেন না। সরকারের সঙ্গে আদান-প্রদান হয় মহামান্যের। এখন দু’-এক কথায় বুঝাইয়া দাও, সরকারের সঙ্গে সরকারি বিভাগের কী পার্থক্য? এতদিন যে চিঠিপত্র উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে আদান-প্রদান করেছে রাজ্যপালের সচিবালয়, সেগুলির তবে কী হবে? শেষে শিক্ষামন্ত্রী হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন, প্রশ্নগুলি সহজ হলেও উত্তরগুলি অজানা। এর মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট, রাজ্যপাল নিজেই জানেন না তিনি ঠিক কী বলতে চাইছেন। তাঁর নিজের কাছেই স্পষ্ট নয় নিজের ভূমিকা।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
উচ্চশিক্ষা দফতর চিঠি দিয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আচার্যের দফতরের কোনও ক্ষমতা নেই নতুন করে আইন বা স্ট্যাটুট গঠন করার। আচার্য শুধুমাত্র একটি সাংবিধানিক পদ। ৮ দফা বিষয় উল্লেখ করে এই কড়া চিঠি দেওয়া হয়েছে আচার্যকে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পাঠানো আচার্যের চিঠি আসলে অযৌক্তিক ও অকল্পনীয় যা উচ্চশিক্ষা দফতরের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে। অকারণে উচ্চশিক্ষা দফতর সম্পর্কে বিরক্তিকর শব্দ লেখা হচ্ছে। এছাড়াও বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রশাসন ও ম্যানেজমেন্টে একাধিক কর্তব্য রয়েছে। একই সঙ্গে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে সেই চিঠির প্রেক্ষিতে রাজ্যপালকে তার ক্ষমতা মনে করিয়ে ফের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে জানিয়ে দিক বলেও জানানো হয়েছে চিঠিতে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, কোনও আইন বা বিধিতে রাজ্যপালের সচিবালয়ের কোনও উল্লেখ নেই।
আরও পড়ুন-লোহিতসাগরে ঝাঁজ বাড়াচ্ছে আমেরিকা-ইংল্যান্ড, সায় নেই ইউরোপের বহু দেশের
রাজ্যপালের পদটি সাংবিধানিক হলেও, আচার্য একটি বিধিবদ্ধ পদ। যে বিধিবলে রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, সে-বিষয়ে জবাব তলব করেছে উচ্চশিক্ষা দফতর। এছাড়াও যাদবপুরে ২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তন অনুষ্ঠান হওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরা হয়েছে এই চিঠিতে।
আরও পড়ুন-ক্ষোভ জানালেন সুখেন্দুশেখর রায়, রাম-সীতার সাজে বিমানকর্মীরা
রাজভবনের উদ্দেশ্যে পাঠানো চিঠিতে উচ্চশিক্ষা দফতর স্পষ্ট জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় একাধিক বিষয় সংশ্লিষ্ট দফতরের আওতাধীন। শুধু তাই নয়, মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে যে খরচ বিশ্ববিদ্যালয় করছে তার জবাব দফতর চাইতে পারে। উপাচার্য মামলায় শীর্ষ আদালতের দেওয়া নির্দেশকেও উল্লেখ করেছে উচ্চশিক্ষা দফতর। জানিয়েছে, নতুন করে আচার্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার এই মুহূর্তে নেই। শুধু তাই নয়, মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে যে খরচ বা ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় করছে তার জবাব দফতর চাইতে পারে। এবার রাজ্যপাল তথা আচার্য চিঠির কী জবাব দেন সেটাই দেখার।