প্রতিবেদন : একমাত্র সন্তানের মৃত্যুর পরেও কোনও হেলদোল নেই মায়ের! সবেমাত্র এক সপ্তাহ হয়েছে শিশুসন্তানের মৃত্যুর। অভিযোগ, সন্তানকে খুন করেছেন তিনিই। নেপথ্যের কারণ স্বামীর সঙ্গে তীব্র বিবাদ ও বিবাহবিচ্ছেদের মামলা। সন্তানের মৃত্যুর পর পুলিশি হেফাজতেও একই ছবি। তদন্তের প্রয়োজনে থানায় আসা স্বামীর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে রণংদেহী মেজাজে সূচনা শেঠ। সন্তানশোক তো দূরঅস্ত, বিবাহবিচ্ছেদ মামলা ও স্বামীর সঙ্গে অশান্তি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। মাত্র ১৫ মিনিটের সাক্ষাৎকার পর্ব থাকল নজিরবিহীন অশান্তির সাক্ষী হয়ে। হতবাক তদন্তকারীরাও।
আরও পড়ুন-শীর্ষে যোগীরাজ্য, অনিয়মের অভিযোগে নোটিশ
গোয়ার কালাংগুটে বিচ থানায় বয়ান রেকর্ডের জন্য পৌঁছন স্টার্টআপ সংস্থার সিইও সূচনা শেঠের স্বামী ভেঙ্কট রামন। সেখানেই স্বামী-স্ত্রীকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। সন্তানের মৃত্যুর জন্য সেখানেই স্ত্রীর উপর ক্ষোভ উগরে দেন ভেঙ্কট রামন। তিনি প্রশ্ন করেন, কেন একমাত্র সন্তানের সঙ্গে এমন করলেন সূচনা? উত্তরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সূচনা। তিনি বারবার সন্তানের মৃত্যুর জন্য স্বামীকে দায়ী করতে থাকেন। আর তাতেই পরস্পর দোষারোপের পালা শুরু হয়ে যায়। সেখানে কোথাও সন্তানকে খুন করার কথা স্বীকার করেননি সূচনা। উপরন্তু স্বামীর ওপর সন্তান মৃত্যুর দায় চাপান তিনি।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
গোয়া পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর থেকে সূচনা একবারও সন্তানকে খুনের কথা স্বীকার করেননি। বারবার দাবি করছেন, তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘুম থেকে উঠে সন্তানকে মৃত দেখেন। শনিবার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করার সময়ও তাঁর সেই বয়ানের এতটুকু বদল হয়নি। ইতিমধ্যেই একাধিকবার খুনের তদন্তে পুলিশকে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে সূচনার বিরুদ্ধে। ভুল তথ্য পরিবেশনেরও অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশের কাছে বয়ান রেকর্ড করতে এসে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি ভেঙ্কট রামন। তাঁর আইনজীবী জানান, তীব্র সন্তানশোকে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই তিনি। তবে পুলিশকে তিনি সূচনাকে সন্তানমৃত্যুতে দায়ী করে একাধিক কারণ তুলে ধরেন। একবছর ধরে যে বিবাহবিচ্ছেদ মামলা চলছে তাতে আদালতের নির্দেশে সপ্তাহে একদিন সন্তানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিয়েছিল। এই নির্দেশেই ক্ষিপ্ত ছিলেন সূচনা। টানা পাঁচ সপ্তাহ ছেলের সঙ্গে দেখা করতে দেননি বাবাকে। ৭ জানুয়ারি দেখা করার দিন ছিল। যার আগে ৬ জানুয়ারি ছেলেকে খুন করেন বলে নিজের অনুমানের কথা পুলিশকে জানান ভেঙ্কট।