প্রতিবেদন : চিন সফর সেরে ফিরেই একের পর এক হুঙ্কার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর। ভারতের সঙ্গে চলতি টানাপোড়েনের মধ্যে চিনঘনিষ্ঠ মালদ্বীপ প্রেসিডেন্টের একের পর এক মন্তব্য কূটনৈতিক সম্পর্কে উত্তেজনা আরও বাড়াবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সর্বশেষ ভারতীয় সেনাদের মালদ্বীপ ছাড়ার সময়সীমা বেঁধে দিলেন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। রীতিমতো দু’মাসের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে ভারতীয় সেনাকে মালদ্বীপ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-বাম মুখ্যমন্ত্রীর কন্যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন
এর আগে কূটনৈতিক স্তরে মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু চিন থেকে ফিরেই খোদ প্রেসিডেন্ট যেভাবে দু’মাসের সময়সীমা জারির কথা নিজে বললেন তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই নির্দেশের পিছনে চিনের ‘হাতযশ’ দেখছে নয়াদিল্লি। রাজনৈতিক মহলের মতে, খোদ মালদ্বীপ প্রেসিডেন্টের নানা মন্তব্যই বুঝিয়ে দিচ্ছে, ভারতের সঙ্গে এতদিন চলে আসা গভীর সম্পর্কের চালচিত্রে পরিবর্তন আনতে চান তিনি। বরং তাঁর নির্ভরতা যে অনেক বেশি বেজিংয়ের উপর, তা প্রতি পদক্ষেপে প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। এমনকী সচেতনভাবে এমন সব মন্তব্য মুইজ্জু করছেন যা আপাতভাবে ভারতবিরোধী ভাষ্য তৈরির সহায়ক। এর আগে কূটনৈতিক স্তরে সেনা সরিয়ে দেওয়ার জন্য ভারতকে আর্জি জানিয়েছিল মালদ্বীপ। এবার সরাসরি ‘নির্দেশ’ দিলেন প্রেসিডেন্ট। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের মুখ্যসচিব আবদুল্লাহ নাজিম ইব্রাহিম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়ে দিয়েছেন। ইব্রাহিম জানিয়েছেন, দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ককে ঠিকঠাক রাখার জন্য ভারতীয় সেনাকে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ও গণতান্ত্রিক উপায়ে চলে যেতে হবে। চিন সফরের পরেই ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। শনিবার কোনও দেশের নাম না করেই হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছিলেন, আমরা ছোট দেশ হলেও কাউকে ধমকানোর ছাড়পত্র দেয়নি আমাদের সরকার। ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার নিয়ে এপর্যন্ত দ্বাদশ বৈঠক হয় দু’দেশের কূটনৈতিক পর্যায়ে। এদিকে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর সচিবালয়ের শীর্ষ আধিকারিক আবদুল্লা নাজিম ইব্রাহিম সে-দেশের এক
সংবাদপত্রকে বলেছেন, ভারতীয় সেনারা মালদ্বীপে থাকতে পারবেন না। কারণ এটাই প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু এবং তাঁর সরকারের সিদ্ধান্ত।