সংবাদদাতা, বাঁকুড়া : রবিবার রাত পোহালেই মকরসংক্রান্তি। রাঢ়বঙ্গ-সহ বাঁকুড়ার বড় অংশের মানুষ একমাসের টুসু পরবে মেতে ছিলেন। নিরবচ্ছিন্ন একমাস পর টুসু উৎসবের শেষে আজ মকরসংক্রান্তিতে জাগরণের মাধ্যমে শেষ হবে এই পরব। টুসু গান প্রধানত সন্ধেবেলা টুসুমণিকে সন্ধ্যারতি দিয়ে শুরু হয়। পাড়ায় পাড়ায় ৮ থেকে ৮০ সকলেই অংশ নেন।
আরও পড়ুন-রাজ্যের বিজেপি সাংসদদের এটাই শেষ লোকসভা নির্বাচন : কল্যাণ
ভাষাতত্ত্ববিদের মতে, অস্ট্রিম ভাষায় টুসু শব্দটির অর্থ ছোট পুতুল বা ছোট মেয়ে। শস্য উৎসবের প্রবহমান ধারা এই উৎসবের সঙ্গে ইউরোপের গার্ডেন অফ অ্যাডোনিস অনুষ্ঠানের মিল রয়েছে। যা শস্যের পুনর্জন্মকে ত্বরান্বিত করার কৌশল। বাড়ির মেয়েরা নিজেরাই গানের মাধ্যমে টুসুর আরাধনা করেন যার জন্য পুরোহিত লাগে না। এই উৎসবের কোনও ধর্ম নেই। তাই টুসু ঘরের মেয়ে। সোলার তৈরি ভেলার ওপর টুসুমণিকে রেখে মকরসংক্রান্তির ভোরে নদী বা বড় জলাশয়ে ভাসানো হয়। এই উৎসব ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। কোথাও পোঙ্গল, কোথাও লোরি, কোথাও মকর। লাল মাটির দেশের মানুষ আজ টুসুর ভাসান নিয়ে গোটা দিনটা কাটাবেন উৎসবের আবহে।