প্রতিবেদন : রাজ্য সরকারের অধীনস্থ যুব আবাসগুলির পরিচালনার ভার এবার বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। কোষাগারের উপর চাপ কমাতে এবং যুব আবাস পরিচালনায় পেশাদারিত্ব আনতেই এই উদ্যোগ বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন-বিপন্ন শ্রমিকদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অভিনব উদ্যোগ
রাজ্যের ৩৪টি ইউথ হস্টেল ১৫ বছরের জন্যে বেসরকারি সংস্থাকে লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে, গত ৫ বছরে দেশের কোথাও ন্যূনতম ৫০ বেডের কোনও হোটেল, লজ, গেস্ট হাউস বা রেস্তোরাঁ চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন কোনও সংস্থাকেই লিজ দেওয়া হবে। তাদের জন্য বেশ কিছু নিয়মকানুনও বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। বলা হয়েছে, যুব আবাসের ঘর শুধুমাত্র পর্যটকদেরই ভাড়া দিতে হবে। পর্যটকদের সুরক্ষায় নিরাপত্তারক্ষী রাখতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি বা ছাত্র-যুবরা ভাড়ায় ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন। দফতরের মনোনীত অতিথিদের জন্যে যুব-আবাসে দু’টি বাতানুকূল রুম আলাদা করে রাখতে হবে। এছাড়াও জঞ্জাল সাফাই, অগ্নিনির্বাপণ এবং ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব লিজ নেওয়া সংস্থাকেই পালন করতে হবে। ক্যান্টিনের সুবিধাও রাখতে হবে।
আরও পড়ুন-ভালবাসার মন্ত্রে সুস্থ জীবন ফিরিয়ে দিল পাভলভ
বিভিন্ন যুব আবাস লিজ দেওয়ার ক্ষেত্রে এক-এক জায়গায় এক-একরকম বেস প্রাইস ধরা হয়েছে। যেমন দিঘায় বেস প্রাইস ধার্য হয়েছে ২৩ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা। এখানে মোট রুমের সংখ্যা ৩২টি। ১০৭ জন থাকতে পারেন। তবে সবথেকে বেশি বেস প্রাইস ধার্য হয়েছে গজলডোবা ইউথ হস্টেলের জন্য। এখানে ৩৭টি রুম রয়েছে। থাকার ব্যবস্থা ৮২ জনের। বেস প্রাইস ৮২ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা। মূলত পড়ুয়াদের থাকার জন্যে সরকারি অর্থানুকূল্যে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ইউথ হস্টেল গড়ে উঠেছিল। যার দেখভাল করে রাজ্য ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতর। দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য, যুব আবাস রক্ষণাবেক্ষণে বছরে সরকারের বেশ কয়েক কোটি টাকা খরচ হয়, কিন্তু রোজগার হয় যৎসামান্য। অর্থ দফতর এই বাবদ খরচে লাগাম টানার নির্দেশ দিয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত।