প্রতিবেদন : গদ্দারের সঙ্গে হাওড়ার গাঁজা (BJP Marijuana case) পাচারকারী বিজেপি নেতার ছবি নিয়ে জবাবদিহি চাইছেন সাধারণ মানুষ। ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তাঁরা। প্রশ্ন, এখনও নীরব কেন গদ্দার? এদিকে হাওড়ার গ্রেফতার হওয়া বিজেপি নেতার গাঁজার ব্যবসার উৎস সন্ধানে ধৃতদের নিয়ে ওড়িশা যাওয়ার পরিকল্পনা করছে পুলিশ। সেখানে এই চক্রের সঙ্গে আর কে কে যুক্ত তা খুঁজে বের করতে চান তদন্তকারীরা। সোমবারই ধৃত বিজেপি নেতা নিমাই রায় সহ ৩ জনকে আদালতে তোলা হয়। সাঁকরাইলের কান্দুয়ার নাবঘড়ায় গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় ৩ জনের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিকে গদ্দারের সঙ্গে গাঁজা পাচারকারী ধৃত গেরুয়া নেতার ছবিকে কেন্দ্র করে এখনও সরব রাজনৈতিক মহল। সকলেরই প্রশ্ন, ৩ দিন পার হয়ে গেল, কিন্তু এই ছবির ব্যাপারে এখনও নীরব কেন গদ্দার? কেন জবাব দিচ্ছে না গদ্দার? এই ঘটনায় মুখ লুকানোর জায়গা পাচ্ছে না হাওড়ার বিজেপি নেতৃত্ব। গভীর অস্বস্তিতে রাজ্য নেতৃত্বও। বিজেপির প্রতি তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছেন এলাকার মানুষও। মুখে মুখে ঘুরছে একটাই কথা, বিজেপি নেতৃত্ব নিমাইয়ের গাঁজা (BJP Marijuana case) ব্যবসার কথা সমস্তটা জেনেও তাকে কিষান মোর্চার সহসভাপতি করেছিল। নিমাইয়ের স্ত্রী রূপাকে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীও করেছিল বিজেপি। বিজেপির মুখে নৈতিকতার কথা কোনওভাবেই মানায় না। উল্লেখ্য, সাঁকরাইলের কান্দুয়া পঞ্চায়েতের বিজেপির সদস্যা রূপা রায়ের বাড়িতে হানা দিয়ে প্রায় ৪১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে তাঁর স্বামী নিমাই রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবার নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ধৃত ৩ জনকে জেরা করে পুরো গাঁজা পাচারচক্রের হদিশ পেতে চাইছেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসারেরা। সেইসঙ্গে এই চক্রের পুরো চেনটারও হদিশ পেতে চাইছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওড়িশা থেকে এই গাঁজা আনা হত। উলুবেড়িয়া, চেঙ্গাইল হয়ে এই গাঁজা এসে পৌঁছত চক্রের ‘কিংপিন’ সাঁকরাইলের বিজেপি নেতা নিমাইয়ের বাড়িতে। তার মাধ্যমেই ওই গাঁজা হাওড়া, হুগলি ও কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ত। কাদের মাধ্যমে ও কীভাবে এই গাঁজা পাচার হত তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- যুব আবাসগুলির মানোন্নয়নে এবার পেশাদার সংস্থা নিয়োগ