প্রতিবেদন : বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে চার খণ্ডের গবেষণাপত্র প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, তামিল, সংস্কৃত, তেলুগু, মালয়ালম, ওড়িয়া ইত্যাদি ভাষাগুলো ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে। আড়াই হাজার বছর ধরে বাংলা ভাষার বিবর্তন হয়েছে। তবু বাংলা ভাষাকে ধ্রপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক সিদ্ধান্ত, হাতির হানায় মৃতের স্ত্রীকে নিয়োগপত্র
প্রামাণ্য গবেষণাপত্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠানোর কথাও ঘোষণার পর চার খণ্ডের গবেষণাপত্র নিয়ে ফের নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি চার খণ্ডে গবেষণাপত্র দেখান এদিন। বাংলার আড়াই হাজার বছরের ধ্রুপদী ভাষা-সংক্রান্ত গবেষণাপত্র কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠানো হয়েছে। তিনি ফের দাবি তোলেন, বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও চিঠি লেখেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলার অনেক আগেই ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে জাতীয় স্বীকৃতি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বাংলা ভাষাকে। কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক প্রাচীনত্ব-সহ যেসব মাপকাঠি মেনে প্রাদেশিক ভাষাগুলিকে ধ্রুপদী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়, বাংলা ভাষা সেইসব মাপকাঠি পূরণ করে। তা সত্ত্বেও বাংলাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। বাংলা ভাষার জন্ম ও বিবর্তনের ইতিহাস, প্রাচীন লিপি সংক্রান্ত গবেষণা দেখাচ্ছে পণ্ডিত ও সরকারি আধিকারিকদের দিয়ে এ-বিষয়ে চার খণ্ডে প্রামাণ্য গবেষণাপত্র তৈরি করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের নাম বদল করে বাংলা করার দাবিও পুনরায় তোলেন তিনি।