এপার-ওপার বাংলাকে জুড়তে রেলপথ ও সড়কপথের পাশাপাশি অচিরেই যোগ হতে চলেছে জলপথও। এবার জলপথে ভারত-বাংলাদেশ যোগ হতে চলেছে মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলা দিয়ে। কাজ প্রায় শেষের দিকে। এজন্য লালগোলায় তৈরি হচ্ছে নয়া বন্দর।
আরও পড়ুন-সামরিক শক্তিতে ‘সর্বশক্তিমান’ আমেরিকাই, নয়া রিপোর্ট প্রকাশ
ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীস্থাপনের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যবৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই ব্যবস্থা। এপার থেকে সহজেই পণ্য পৌঁছে যাবে ওপারে। শুধু তা-ই নয়, ত্রিপুরাতেও সহজেই পৌঁছবে পণ্য, দূরত্ব কমবে অনেকটাই। ওপার থেকেও সহজে পণ্য আসবে ভারতে। ইতিমধ্যেই একটি জাহাজ ত্রিপুরা হয়ে বাংলাদেশে পৌঁছে যাচ্ছে। জলপথে ভারত-বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে লালগোলার এই নয়া বন্দর। লালগোলার পণ্ডিতপুরে চলছে বন্দর তৈরির কাজ। এপারে নয়াগ্রাম এবং ওপারে সুলতানগঞ্জের বন্দর দিয়ে হবে যোগাযোগ। নদীপথে প্রাথমিকভাবে কয়লা, বালি, পাথর ও ছাই-সহ বিভিন্ন দ্রব্য আদানপ্রদান চলবে। ভারত থেকে রেলপথ, সড়কপথ বা বিমানপথের পর এবার জলপথেও যাবে পণ্য।
আরও পড়ুন-ফ্যাসিবাদ উঁকি মারছে
এই জলবন্দরটি তৈরি হলে লালগোলার অর্থনীতি যেমন আরও উন্নত হবে তেমনই দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং মৈত্রী আরও দৃঢ় হবে। ২০১৫ সালে এই বিষয়ে ভাবনা শুরু হয়। ২০১৮-র মার্চে জমি ও নদী পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট দফতর। ২০২২-এর এপ্রিলে মৌ স্বাক্ষর হয়। ৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫ বিঘা জমির ওপর তৈরি হচ্ছে লালগোলার বন্দরটি। খুব শীঘ্রই এটি চালু হয়ে যাবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট দফতর। আর এই বন্দরটি চালু হলেই এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে বলেই মানুষের আশা।