প্রতিবেদন : হুমকি, হামলা, মামলা, ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত—সব উপেক্ষা করে বুধবার ত্রিপুরার পুরভোটের জন্য উৎসবের মেজাজে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা। এদিন আগরতলা পুরনিগমের জন্য ৫১টি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটিতেই মনোনয়ন জমা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সর্বভারতীয় সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময়ই দলে, প্রশাসনে, লোকসভায়, রাজ্যসভায় মহিলাদের প্রাধান্য দিয়ে এসেছেন। ত্রিপুরাতেও তার ব্যতিক্রম হল না। ৫১ জনের মধ্যে ২৮ জনই মহিলা। এর মধ্যে ২৫ জন মহিলা সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী।
আরও পড়ুন : জেতার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কাজে নামলেন গোসাবার বিধায়ক
ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর বিজেপির সন্ত্রাস চলছেই। বিজেপির গুন্ডাদের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন জোড়া ফুলের নেতা-কর্মীরা। সে সব উপেক্ষা করেই বুধবার বিশাল মিছিল করে আগরতলায় ৫১টি আসনে মনোনয়ন জমা দিলেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। সঙ্গে ছিলেন দলের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক ও সাংসদ সুস্মিতা দেব সহ প্রচুর তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। আগরতলা পুরনিগম সহ ত্রিপুরার নগর পঞ্চায়েত ও পুর পরিষদে ২৫ নভেম্বর ভোট। এদিনই ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। গত কয়েকমাসে ত্রিপুরায় বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরামহীন আন্দোলনে ত্রিপুরায় বিজেপি থরহরি কম্প। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা আটকাতে ষড়যন্ত্রের কসুর করেনি বিপ্লব দেবের প্রশাসন। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। কয়েকদিন আগেই দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে বিজেপির বর্বরোচিত হামলায় প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন তৃণমূল যুব নেতা মামন খান। এত অত্যাচার সত্বেও দলের নেতা-কর্মীরা ত্রিপুরায় এক ইঞ্চি জমিও ছাড়েননি বিজেপিকে। ত্রিপুরা তৃণমূল স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক ও সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, অনেক বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও আগরতলার ৫১টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখানে বিজেপি যেভাবে সন্ত্রাস তৈরি করেছে, প্রার্থীদের মারধর করা থেকে ভয় দেখানো, কী না করেছে, তবুও আমাদের আটকানো যায়নি। এটা আমাদের প্রথম জয়। আমরা আশাবাদী ত্রিপুরার মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। এই নির্বাচনে বিজেপির চোখে চোখ রেখে লড়াই করবে তৃণমূল কংগ্রেস।