প্রতিবেদন : বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে (NCPCR- Madhya Pradesh) হোম থেকে শিশু উধাওয়ের ঘটনাই শুধু নয়, হোমগুলিতে শিশুদের উপর অকথ্য শারীরিক নির্যাতন থেকে যৌন নিগ্রহের ঘটনাও ঘটে চলেছে। নিগৃহীত শিশুদের থেকে এবার তা শুনলেন খোদ কেন্দ্রীয় শিশু অধিকার কমিশনের সদস্যরা। সারপ্রাইজ ভিজিটের পরই তালা লাগানো হল ইন্দোরের হোমে। শিশুদের আপাতত সরকারি হোমে স্থান দেওয়া হয়েছে।
বছরের শুরুতেই মধ্যপ্রদেশের ভোপালে একটি বেসরকারি হোমে সারপ্রাইজ ভিজিটে গিয়ে আঁতকে ওঠেন ন্যাশানাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস (NCPCR- Madhya Pradesh) চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। রেজিস্টারে নাম থাকা ২৬ নাবালিকার কোনও হদিশই পায় না কমিশনের সদস্যরা। বিভিন্ন রাজ্যের ফুটপাথ থেকে তুলে আনা শিশুদের খোঁজ পেতে শুরু হয় তদন্ত। এবার কমিশনের সদস্যরা হোমে পৌঁছতেই শিশুরা তুলে ধরল তাদের ওপর চলা নির্যাতনের কাহিনি। কেউ শোনাল জোর করে শুকনো লঙ্কা শোঁকানোর কাহিনি। কেউ শোনাল মাথা নীচে পা উপরে করে বেঁধে রাখার কাহিনি। কাউকে আবার গরম লোহার রড দিয়ে ছেঁকাও দেওয়া হয়েছে। শিশুদের পোশাক খুলে ছবি তুলে রাখার মতো চাঞ্চল্যকর ঘটনাও ঘটেছে আকছার। একই রাজ্যে একটি হোম নিয়ে তদন্তের সুরাহা না হতেই অন্য হোমে যে ছবি ফুটে উঠল কমিশনের সদস্যদের সামনে, তাতে এই রাজ্যে আদৌ কোনও হোম শিশুদের জন্য নিরাপদ কি না তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
এই হোমের পরিচালক সংস্থার অফিস আছে বেঙ্গালুরু, সুরাট, যোধপুর ও কলকাতায়। বর্তমানে সেই ইন্দোরের হোমে আবাসিক ছিল ২১ জন শিশু। মহারাষ্ট্র, গুজরাত, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের ফুটপাথ থেকে এই সব শিশুদের উদ্ধার করে হোমে এনে রেখেছিল কর্তৃপক্ষ। যাবতীয় বেনিয়ম ও নির্যাতনের তথ্য পাওয়ার পর ইন্দোর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে কমিশন। বিজেপি রাজ্যে শিশু সুরক্ষার হাল কী, বলে দিচ্ছে নিগৃহীত শিশুদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতাই।
আরও পড়ুন- মণিপুরে পুলিশ খুনে গ্রেফতার বিজেপি নেতা!