আগরতলা : শেষপর্যন্ত একটি বিজেপি শাসিত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাকে কাঠগড়ায় তুলে সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। চার সপ্তাহের মধ্যে ত্রিপুরার মুখ্যসচিব, পুলিশের ডিজিপি এবং রাজ্য মানবাধিকার কমিশনকে রিপোর্ট দিতে হবে।
ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের উপর বিজেপির লাগাতার আক্রমণ ও ত্রিপুরা উত্তর জেলায় সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলে। তার প্রেক্ষিতেই ত্রিপুরার হামলা নিয়ে বিজেপি সরকারের রিপোর্ট চাইল মানবাধিকার কমিশন। সাকেত তাঁর অভিযোগে জানান, একদিকে তৃণমূল কর্মীদের উপর লাগাতার হামলা চলছে। অন্যদিকে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের জঘন্য চেষ্টা। সাম্প্রতিক ঘটনার উল্লেখ করে তৃণমূল নেতা জানান, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ত্রিপুরা উত্তর জেলায় মিছিল করছিল। সেই সময় সেখানে সংখ্যালঘুদের ধর্মস্থানে ভাঙচুর করা হয়। দুটি দোকান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। মিছিল থেকেই হামলা চলে বলে অভিযোগ। এমন ঘটনার পরেও ত্রিপুরার পুলিশ-প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টে হিংসা যারা ছড়ায় রাজ্য প্রশাসন তাড়াতাড়ি তাদের আড়াল করে বলে অভিযোগ। এর বিরুদ্ধে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। সামনে নিয়ে আসে বিপ্লব দেবের বিজেপি পুলিশের নির্লজ্জ নিষ্ক্রিয়তা।
আরও পড়ুন : নজরে গোয়া: ১০ নভেম্বর তিনদিনের রাজ্য সফরে এবার যাচ্ছেন অভিষেক
ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন সাকেত। অভিযোগ পাওয়ার পরই রাজ্য প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন। অশান্তির আবহে ত্রিপুরা প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছিল, তা জানতে চেয়েছে কমিশন। সাম্প্রদায়িক হিংসার পাশাপাশি ত্রিপুরায় শাসকদল বিজেপি লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের ওপর। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও আক্রমণের ঘটনায় কোনও অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়নি। সেই ঘটনা নিয়ে সরব হন সাকেত। এনএইচআরসি-র কাছে এই ঘটনা নিয়ে তদন্তের আর্জি জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র। বাংলার ব্যাপারে সব সময় রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তোলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। পশ্চিমবঙ্গে তদন্তে এসেও বেছে বেছে বিজেপির অভিযোগের তদন্তে গিয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল। এখন ত্রিপুরার বেলায় তাদের ভূমিকা কী হয় সেটাই দেখার।