তৃণমূলই কথা দিলে কথা রাখে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) কথা দিয়েছিলেন আর নিজে উদ্যোগ নিয়ে আইনি জট কাটান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মহকুমা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ধূপগুড়ি (Dhupguri)। আজ, শনিবার, তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, নীবিড় উন্নয়নের জন্যেই মহকুমা করা হয়েছে ধূপগুড়িকে। রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা জানান, আদিবসী উন্নয়নে সবরকম উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা ও অভিষেককে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানান ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মালচন্দ্র রায়।
আরও পড়ুন-পণে অনিচ্ছা, যোগীরাজ্যে স্ত্রীকে তিন তালাক দিলেন ব্যক্তি
২০২৩-এর ২ সেপ্টেম্বর সেখানে গিয়ে অভিষেক কথা দিয়েছিলেন ধূপগুড়িকে মহকুমা করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী সে বিষয়ে উদ্যোগ নেন। কিন্তু আইনি জটে সেটা বেশ কিছুদিন আটকে ছিল। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ফোন করেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে। সমস্যা মিটে যায়। এই তথ্য জানিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ধূপগুড়ির সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত। তৃণমূলই মানুষের উন্নয়নের কথা ভাবে। তাদের দাবিতে মান্যতা দেয়। ইতিমধ্যেই ধূপগুড়ি থেকে আনন্দ উদযাপনের খবর আসছে। বিজেপিকে তুলোধনা করে কুণাল বলেন, বিজেপি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয়। CBI, ED, মন্দিরের রাজনীতি করে। আর তৃণমূল সরকার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের দাবিতে মান্যতা দেয়।
আরও পড়ুন-হিমাচল প্রদেশের সিমলায় ভূমিধসে ভেঙে পড়ল পাঁচতলা ভবন
রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, আদিবাসী উন্নয়নকে সব সময় গুরুত্ব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। মন্ত্রী উল্লেখ করেন, ঝাড়গ্রামের মেডিক্যাল কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে তৃণমূল আমলেই। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক যখন ঝাড়গ্রামে গিয়েছিলেন, তখন স্থানীয়রা তাঁকে এলাকার সমস্যার কথা জানান। অভিষেক তাঁদের কথা শোনেন এবং মন্ত্রীদের পাঠিয়ে এলাকা পরিদর্শন করিয়ে সমস্যার সমাধানের ব্যবস্থা করেন। বিরোধীদের আক্রমণ করে বীরবাহা বলেন, বাংলার উন্নয়নের দিকে দেখুন। কিছু বলার থাকলে আলোচনায় বসুন। তা না করে উন্নয়নের বিরোধিতা করছে বিরোধীরা। তৃণমূলের পাশে সব সময় থাকবে আদিবাসী মানুষ
আরও পড়ুন-প্রকাশ্য দিবালোকে নয়ডায় জিম থেকে ফেরার পথে গুলি.বিদ্ধ যুবক
মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানান ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়। বলেন, মহকুমা হওয়ার পরেই ধূপগুড়িবাসীর যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস তা বয়ে নিয়ে তিনি কলকাতায় এসেছেন। কী সুবিধা হবে? উত্তরে বিধায়ক জানান, উন্নততর পরিষেবা পাবে ধূপগুড়ি। মহকুমা হওয়ার পরেই গ্রামীণ হাসপাতাল মহকুমা হাসপাতাল হবে। ৫লাখ মানুষ উন্নততর স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন। নির্মলচন্দ্রের কথায়, উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে বাংলায়। মুখ্যমন্ত্রী উত্তরে উত্তরকন্যা হয়েছে। পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়, মহিলা কলেজ, সার্কিট বেঞ্চ, রাজবংশী উন্নয়ন বোর্ড তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যে কথা দিয়েছিলেন, তা রেখেছেন। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তরে গিয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ- পঞ্চানন বর্মার বিশাল মূর্তি, নারায়ণী সেনা- তা কিছুই পালন করেননি।