প্রতিবেদন : অবৈধ ও অবাধ অনুপ্রবেশ ক্রমশ জাতীয় সুরক্ষার জন্য উদ্বেগের কারণ হচ্ছে। এবার তাই পাল্টা সক্রিয়তা শুরু। মায়ানমার (Border of Myanmar) থেকে যাতে কেউ বিনা বাধায় ভারতে ঢুকে পড়তে না পারে সেজন্য মিজোরাম-মায়ানমার সীমান্তে কাঁটাতার বসানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার একথা জানিয়েছেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানা গিয়েছে, গত তিন মাসে ৬০০-এর বেশি মায়ানমারের সেনা সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন। এই ধরনের গতিবিধি রুখতেই এবার পদক্ষেপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। সম্প্রতি গৃহযুদ্ধে উত্তপ্ত মণিপুর ও মিজোরাম লাগোয়া মায়ানমার। এদিকে নিয়ম অনুযায়ী দুই দেশের ভূমিপুত্র আদিবাসীরা ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত ভিসা ছাড়া যাতায়াত করতে পারেন। এই নিয়মের জেরেই মায়ানমারের সেনা ও বিদ্রোহীদের অনেকেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে আসছেন। এ-বিষয়ে পদক্ষেপের জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছে মিজোরাম সরকার। এই অবাধ যাতায়াত রুখতেই এবার উদ্যোগ নিল কেন্দ্র। এ প্রসঙ্গে এদিন অসমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সীমান্তের মতোই নিরাপত্তার চাদরে মোড়া হবে মায়ানমার সীমান্তও (Border of Myanmar)। শীঘ্রই মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকতে সে দেশের আদিবাসীদের ভিসার প্রয়োজন হবে। শেষ হবে ১৯৭০-এর ‘ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম’ চুক্তি। উল্লেখ্য, ভারতের সেনাকর্তারা মনে করেন মণিপুরে অশান্তির শিকড় রয়েছে আসলে মায়ানমারে। কীভাবে? সেনা সূত্রে বক্তব্য, মায়ানমার গৃহযদ্ধের প্রভাব পড়ছে মিজোরাম এবং মণিপুর দুই রাজ্যেই। সংঘর্ষ না থামার দ্বিতীয় কারণ, মেইতেই ও কুকি দুই গোষ্ঠীর কাছেই রয়েছে প্রচুর হাতিয়ার ও আগ্নেয়াস্ত্র। মনে করা হচ্ছে, চিন থেকে মায়ানমার হয়ে অস্ত্র ঢুকছে বিদ্রোহীদের হাতে। আবার গত তিন মাসে মায়ানমারের প্রচুর সেনা মিজোরামে ঢুকেছে। গৃহযুদ্ধের ফলে মায়ানমারের সেনাক্যাম্প দখল করেছে আরাকান আর্মি। এরপরই সেখান থেকে ভারতে ঢুকে পড়ে মায়ানমারের ৬০০ সেনা। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবার ভারত মায়ানমার সীমান্ত সিল করার কথা জানাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
আরও পড়ুন- উদ্বোধনই হল না অনলাইনে মিলছে রামলালার প্রসাদ? অ্যামাজনকে কেন্দ্রের নোটিশ